কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর পরও আটকানো গেল না প্রাণহানি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাণহানির সংখ্যা ৩২ ছুঁয়ে ফেলল। এর মধ্যে, শনিবার ভোটগ্রহণের দিনই বেলা আড়াইটে পর্যন্ত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেই আবহে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই আবহে মুখ খুললেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার (WB Election Commission) রাজীব সিন্হা (Rajiv Sinha)। মেনে নিলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলা সম্ভব নয়। (Panchayat Elections 2023)
সংঘর্ষ, অশান্তি, খুনোখুনি অব্যাহত ভোটগ্রহণের দিনও
শনিবার ভোটগ্রহণে বেলাগাম সন্ত্রাস চোখে পড়েে। সংঘর্ষ, অশান্তি, খুনোখুনির ঘটনা চোখে পড়েছে দিনভর। সেই নিয়ে দুপুরে মুখ খুললেন রাজীব। তিনি বলেন, "অপরাধ ঘটলে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার পর তদন্ত এবং গ্রেফতারি। আশাকরি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।" জায়গায় জায়গায় যে অশান্তির খবর সামনে আসছে, তা কি কমিশনের কাছে পৌঁছচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বলেন, "ঘন ঘন অভিযোগ আসছে। এ নিয়ে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ৬০০-র মতো অভিযোগ সামনে এসেছে। কমিশন সমাধানও করছে।" আগামী দিনেও অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করানোর ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, ছবিটা পাাল্টাল না। একের পর এক মায়ের কোল খালি হয়ে গিয়েছে। ভোট দিতে বেরোতেই ভয় পাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষের। তাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি বলা সম্ভব এই নির্বাচনকে? প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বলেন, "গন্ডগোল, অশান্তির খবর এসেছে। মানুষ নিজের মতামতের নিরিখে অভিযোগ জানান। সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। সবকিছু শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলা সম্ভব নয়। আবার শুধু অশান্তিই হয়েছে, এমনই বলা যায় না।" যেমন যেমন অভিযোগ আসবে, তেমন তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাজীব।
একদিনে রাজ্যে ভোটের বলি ১২ জন
পঞ্চায়েত নির্বাটনে ভোটগ্রহণের দিনও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। দিনভর ভয়াবহ সন্ত্রাসে এখনও পর্যন্ত খুন হয়েছেন ১২ জন। কোচবিহারে খুন হয়েছেন দু'জন বিজেপি কর্মী। রাজ্য জুড়ে ভোটের বলি এক প্রার্থী-সহ তৃণমূলের সাত জন কর্মী। খড়গ্রাম, রেজিনগর, মানিকচক, চাপড়া, বাসন্তী, কাটোয়া, চাকুলিয়ায় খুন সাত জন তৃণমূল নেতা-কর্মী। লালগোলা, আউশগ্রামে নিহত দুই সিপিএম কর্মী। নওদায় এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।