হুগলি: তেইশের পঞ্চায়েত ভোটেও যেন আঠারোর ছবি। ভোট প্রক্রিয়াকে ঘিরে তুমুল সংঘর্ষে জড়াল বিজেপি ও তৃণমূল। আরামবাগের (Arambagh) আরান্ডি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামসা হাইস্কুলে বুথ দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা।
কী অভিযোগ?
এদিন ভোট চলাকালীন আচমকা ২৪১ নম্বর বুথের ভিতরে ঢুকে পড়েন কয়েকজন। ভোট চলাকালীন দুটি ব্যালট বক্স (Ballot Box) তুলে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় পাশের পুকুরে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পদ্ম শিবিরের পাল্টা দাবি, তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তাই ব্যালট বক্স পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এমন ঘটনায় আপাতত ভোট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখনও ব্যালট বক্স উদ্ধার করার কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তৃণমূলের দাবি, কোনওরকম ছাপ্পা ভোট হচ্ছিল না। বিজেপির বিরুদ্ধেই ইচ্ছে করে এমন কাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ তৃণমূলের।
বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে এখানে। তা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষও হয়েছে এখানে। তারপরেই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে ব্যালট বক্স। পুকুরেই ভাসছে ব্যালট পেপার। একটি ব্যালট বাক্স পরে উদ্ধার করা হলেও একটি এখনও উদ্ধার হয়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ধামসার ওই স্কুলে ২টি কক্ষে ভোট হচ্ছিল। কোনও ঝামেলা ছাড়াই ভোট হচ্ছিল বলে দাবি। তখনই সিপিএম এবং বিজেপি হাত মিলিয়ে এই ঝামেলা করেছে। হঠাৎ কয়েকজন এসে বুথে ঢুকে বাক্স তুলে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত একটা পার্টে ভোট চলছে, অন্য পার্টে ভোট বন্ধ রয়েছে।
এই ছবি শুধু হুগলির আরামবাগে নয়। একই ছবি দেখা গিয়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও। সেখানেও ব্যালট বাক্স তুলে দৌড় দিতে দেখা গিয়েছে। কোথাও ব্যালট বক্সের উপর জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় জ্যাংড়াতেও ভোট দিয়ে সিপিএম-তৃণমূল হাতাহাতি হয়েছে। সেখানেও ব্যালট বাক্স তুলে ফেলে দিয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। বুথ থেকে বের করে এনে ব্যালট বাক্স তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে নর্দমাতে। কোথাও দেওয়াল পেরিয়ে উল্টোদিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যালট বাক্স। গ্রামীন এলাকায় উন্নয়নের জন্য়ই ত্রিস্তরীর পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জনমত নেওয়া হয়। সেই ভোট-উৎসব কার্যত ভয়ের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কোথাও মারপিট, গুলি, কোথাও ব্যালট বক্স লুঠের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বুথের বাইরে ভোটারদের লাইন লক্ষ্য করে বোমা, বাসন্তীতে মৃত্যু তৃণমূলকর্মীর