ভাঙড়: আজ ভোট (Elections) গণনা, দিল্লি থেকে ফিরেই সোজা ভাঙড়ে (Bhangar) পৌঁছলেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। দিল্লি (Delhi) থেকে ফিরে ফের হিংসা নিয়ে কড়া বার্তাও দেন রাজ্যপাল (Governor)। আনন্দ বোসের মুখে শোনা যায় দস্যু রত্নাকরের প্রসঙ্গ। বললেন, 'আজকে দস্যুরাই একদিন ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে। যেভাবে রত্নাকর একদিন বাল্মিকী হয়ে উঠেছিলেন। রাজনৈতিক কন্ট্রোলরুম তৈরি করে দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে'। এদিন তিনি কড়া বার্তা দিয়েই বলেেন, 'যে হিংসা আজ হচ্ছে, তার ফল ভোগ করতে হবে বাংলার ভবিষ্যতকে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাকে সুরক্ষিত করতে হবে'। রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কলকাতায় ফিরে বললেন রাজ্যপাল। 


হঠাৎ দিল্লি সফর: ভোটের (Elections) সন্ত্রাসের মাঝেই হঠাৎ দিল্লিতে চলে যান রাজ্যপাল। দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তার পর বেরিয়ে বললেন, অন্ধকারের পরেই ভোর আসে। সুড়ঙ্গের শেষে আলোর দেখা মিলবে। এ দিন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল।


কখনও বললেন, 'শেষ ভাল যার, সব ভাল তার'। কখনও বললেন, 'অন্ধকারের পরেই ভোর আসে'। কখনও আবার বললেন, 'আলোর দেখা মিলবে'। বঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে অবাধ সন্ত্রাসের আবহে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের আগে এবং পরে, একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।


মনোনয়নপর্ব থেকে ৩৩ দিনে, রাজ্যে ভোট হিংসার বলি হয়েছেন ৩৯ জন। আর, ভোটেই মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। ভোটের দিন কোথাও উদ্যত আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি করতে দেখা গিয়েছে। কোথাও মুহুর্মুহু বোমাবাজি হয়েছে। রক্ত ঝরেছে। মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায়, যেদিন পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও অশান্তির ঘটনা নিয়ে খোঁজ নিতে বাংলায় টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেদিনই, নর্থব্লকে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। 


সূত্রের দাবি, বাংলার ভোট হিংসা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন তিনি। এর আগে বঙ্গভবন থেকে বেরনোর সময়ও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল। দীর্ঘ বৈঠক করেন CRPF-এর ডিজি র সঙ্গে। মঙ্গলবার, সকালে কলকাতায় ফেরেন সি ভি আনন্দ বোস। তারপর কী হবে? সেদিকেই নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। এরপর সোজা পৌঁছলেন ভাঙড়ে।