কলকাতা : বাসন্তীতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির বক্তব্য, তৃণমূলে প্রায় ১২ হাজার নির্দল প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। কে জিতবে, তাই নিয়ে দলের মধ্যে সংঘাত চলছে। যত দিন যাবে, হিংসা-খুনোখুনি আরও বাড়বে।'


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের খুনের ঘটনা (Panchayat Elections 2023)। বাসন্তীতে (Basanti News) খুন তৃণমূল কর্মী (TMC)। তাঁর মাথায় গুলি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূলকর্মী। স্থানীয়রা রাস্তায় সেই অবস্থায় দেখতে পান তাঁকে। এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই কাজ করছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূলকর্মীর। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় (South 24 Parganas News)। 


শনিবার রাত ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বাসন্তীতে। সেখানকার ফুলমালঞ্চয় গুলি চলে। নিহত তৃণমূলকর্মীকে জিয়ারুল মোল্লা বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সপ্তাহ বাকি থাকতে খুন হন তিনি। 


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন রত ৯টা নাগাদ ক্য়ানিং থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জিয়ারুল। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। সটান মাথায় এসে লাগে গুলি। তাতে ঘটানস্থলে, রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন জিয়ারুল। 


স্থানীয় সূত্রে জানাা যায়, গুলি চলার আওয়াজ পেয়েছিলেন আশপাশের মানুষজন। কিন্তু অন্ধকারে কিছু ঠাহর করা যায়নি। কিছুই চোখে পড়েনি কারও। পরে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জিয়ারুলকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাতেই জিয়ারুলকে শনাক্ত করা যায়। এর নেপথ্য়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। গুলি চালানোর পরই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। 


ক্যানিং থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রাত ৯টা নাগাদ। সোপানের মোড়ে গুলি চালায় দষ্কৃতী। মাথায় লাগে, লুটিয়ে পড়েন তিনি। এই ঘটনায় ফের একবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব সামনে আসছে। মনোনয়ন পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হল। 


এদিনের এই ঘটনায় এলাকার একাংশ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই সামনে এনেছেন। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আমানুল্লা নস্কর এবং মন্টু গাজি এবং তাঁর ছেলে রাজা গাজির মধ্যে গন্ডগোল ছিল। যুব তৃণমূলের অনেকে এবার পঞ্চায়েতের টিকিট পেয়েছেন। তাই নিয়ে মূল তৃণমূলে থাকা অনেকে অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই নিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। জিয়ারুল যুব তৃণমূলেরই কর্মী। যদিও সেখানে দুই শাখার মধ্যে বিভেদ ছিল না। ব্যবধান তুলে দেওয়া হয় আগেই। টিকিট নিয়ে সংঘাতের জেরেই জিয়ারুলকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করছেন অনেকে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial