কলকাতা: রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার নিয়ে বারেবারেই অভিযোগ জানিয়েছেন। এরপরও একই ধরনের ঘটনার পুণরাবৃত্তি হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ,বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের প্রভাবিত করতে ও তৃণমূল ভোটারদের হুমকি দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চূড়ান্ত অপব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে। বিশেষ একটি পার্টিতে সুবিধা দিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি নাম না করে বিজেপিকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।



উল্লেখ্য, এর আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা। নন্দীগ্রামের ভোটের দিনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন।  তিনি বহিরাগতদের নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন। 


তৃতীয় দফার ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তৃতীয় দফার ভোটে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দিতে ৩১টি বিধানসভা আসনের জন্য ৬১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোট শুরু হতেই সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেই উঠল একাধিক অভিযোগ!


হুগলির গোঘাট বিধানসভার ফুলঝোড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯ নম্বর বুথে তখন সবেমাত্র শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজনকে বুথে ঢুকতে দেয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী! এমনকি বিজেপিকে ভোট দিতে বলার অভিযোগও ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। এ নিয়েই বুথের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা।


গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, বিজেপিকে ভোট দিতে বলছে বাহিনী। কার্ড থাকা সত্ত্বেও যেতে দিচ্ছে না।অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী বলেছে,আমরা সুরক্ষা দিতে আসি। মারধর করিনি। জমায়েত করছিল আমরা হঠিয়ে দিয়েছি।


এবিপি আনন্দে সম্প্রচারিত এই খবরের ভিডিও ট্যুইটারে শেয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।


গোঘাটেরই ১২৪-এ নম্বর বুথে কুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।ধনেখালি বিধানসভার গুরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক যুবককে অকারণে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।সেইসময় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অসীমা পাত্র। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।