হুগলি: রাজ্য বিধানসভার তৃতীয় পর্বের নির্বাচন চলাকালে অশান্তি। হুগলির আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-কে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ। বাঁশ নিয়ে তাঁকে তাড়া করা হয় বলে অভিযোগ। চাষের খেত দিয়ে কার্যত পালিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন।তখনও পিছন পিছন বিশাল লাঠি হাতে ছুটলেন গ্রামবাসীরা।তাঁর গাড়িও ভাঙচুরেরও চেষ্টা করেন উন্মত্ত গ্রামবাসীরা।
সুজাতার অভিযোগ, তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান সুজাতা। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন। সুজাতার অভিযোগ, তাঁর এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না, অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট বুথে এসেছিলেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, আরামবাগে দীর্ঘদিন ধরে দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে রেখেছিল বিজেপি। আমরা বারবার প্রশাসনকে বলেছিলাম।
পাল্টা বিজেপি সুজাতার বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ এনেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে আসা লোকজন তাঁদের ওপর চড়াও হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এর আগে হুগলিরই খানাকুলের তৃণমূল প্রার্থী মুন্সি নাজবুল করিমকে রাস্তায় ফেলে চ্যালাকাঠ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মারতে মারতে এলাকাছাড়া করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এই ঘটনা ঘটলেও ধারেকাছে কোনও পুলিশ কর্মীকে দেখা যায়নি বলে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি।
খানাকুলের হরিশচকে রাস্তা আটকে ভোটারদের প্রভাবিত করা ও বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। এরপর সেখানে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ ও ক্যুইক রেসপন্স টিম। বেআইনি জমায়েত হঠানোর পর এলাকায় দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির একটি ক্যাম্প অফিস সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এরইমধ্যে তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তকে গোপীনাথপুর এলাকায় গো ব্যাক স্লোগান তৃণমূলের। ১০-১২টা গাড়ির কনভয় নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
বিস্তারিত আসছে.....