আসন্ন বিধানসভা ভোটে কোন দল ক’টি আসন পেতে পারে? ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক চালচিত্র কী হতে পারে, তা নিয়ে রাজ্যবাসীর কৌতূহল তুঙ্গে। একদিকে পালাবদলের পালাবদল ঘটাতে ময়দানে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পদ্ম শিবির। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে নবান্ন দখলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। আজ নন্দীগ্রামের সমাবেশ থেকে মমতা একটি বড় ঘোষণা করেছেন। তা হল, অন্তরের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি এবার ভবানীপুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থেকেও ভোটে লড়বেন। তৃণমূল নেতা সৌগত রায় এ নিয়ে দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
বিজেপির হয়ে ঘনঘন রাজ্য সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জেলায় জেলায় ঘুরে তাঁরা দুপুরে স্থানীয় মানুষের বাড়ি খাচ্ছেন, বাউল গান শুনছেন। ফেব্রুয়ারিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য সফরে আসছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারী-দুজনেরই ভবিষ্যদ্বাণী, বিধানসভা ভোটে বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পাবে। পাল্টা তৃণমূলের তরফে ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ, বিজেপি একশোটি আসনও পাবে না। আপনার মতে, কার ভবিষ্যদ্বাণী মিলবে, সি ভোটারের তরফে প্রশ্ন করা হলে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, অমিত শাহের দাবি ঠিক, মনে করছেন ৪১ শতাংশ। ৩৬ শতাংশ জানিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যই ঠিক। বলতে পারব না, জানিয়েছেন ২৩ শতাংশ।
আসন্ন বিধানসভা ভোটে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে? সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল ৪৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে। বিজেপি ৩৮ শতাংশ ও বাম+কংগ্রেস জোট ১২ শতাংশ ভোট পেতে পারে। ৮ শতাংশ পেতে পারে অন্যান্যরা।
গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের তুলনায় এবারের ভোটে কোন দলের প্রাপ্ত ভোটের হার কত বাড়তে বা কমতে পারে? সেই বিচারে তৃণমূলের ভোট ২ শতাংশ কমছে। ২০১৬-য় তারা পেয়েছিল ৪৫ শতাংশ ভোট। এবার তা ৪৩ হতে পারে বলে সি ভোটারের সমীক্ষায় অনুমান। বিজেপির ভোট ২৮ শতাংশ বেড়ে ১০ থেকে বেড়ে হতে পারে ৩৮ শতাংশ। বাম কংগ্রেসের ভোট শতাংশ ধাক্কা খাচ্ছে। ২৮ শতাংশ কমতে পারে। গতবার তারা পেয়েছিল ৪০ শতাংশ। এবার ১২ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা তাদের।