তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান,দুই পঞ্চায়েত সদস্য,তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সহ সভাপতি যোগ দিলেন কংগ্রেসে। দলবদল করেন বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সম্পাদক।
রবিবার সিঙ্গুর বাজারে সভা করে, তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে আসা নেতাদের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। দলত্যাগী তৃণমূল নেতা মানিক সামন্ত বলেছেন, তৃণমূলে দুর্নীতি সহ্য করতে পারছিলাম না। কংগ্রেসে যোগদান করেছি।
দলত্যাগী বিজেপি নেতা শেখ আব্দুল্লা র অভিযোগ, বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে।
আব্দুল মান্নান এই দলবদল প্রসঙ্গে বলেছেন, কংগ্রেসরই একমাত্র বিকল্প।
যথারীতি তৃণমূল ও বিজেপি, দুই শিবির থেকেই কটাক্ষ-বাণ ছুটে এসেছে কংগ্রেসের দিকে। সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, দলত্যাগীরা যে দলেই যাক, সেই দলের বোঝা হবেন।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি মধুসূদন দাস বলেছেন, মতাদর্শ মেনে যাঁরা পারবেন, দলে থাকবেন।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সিঙ্গুর নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে শাসক দলের। লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলে সিঙ্গুরে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে তৃণমূল।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা ভোগাচ্ছে। দলের কাজকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূলের ৪ বারের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
এই প্রেক্ষাপটে সিঙ্গুরে শাসকের ঘরে ভাঙন ধরালো কংগ্রেস।
গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারও বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়বে কংগ্রেস।
রাজ্যের ভোটের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ঘুরে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। চলতি মাসেই ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেও বাকযুদ্ধ তীব্র হয়েছে। এরমধ্যে দলবদলও চলছে। সদ্যই বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা বিজেপিতে সামিল হয়েছেন। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের আরও অনেকেই আসবে। এরইমধ্যে সিঙ্গুরে শুধু শাসক দলের নেতারাই নন, বিজেপির এক নেতাও কংগ্রেসে যোগ দিলেন।