মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ফুচকার নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন বোধহয় কেউই নেই। বিশেষত মহিলারা। আর এই ভাবনাটা থেকেই দুর্গাপুরের বীরভানপুর দামোদর বিসর্জন ঘাটে ফুচকা উৎসবের সূচনা হল বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার হাত ধরে। রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ফুচকা খেয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন। চায়ে পে চর্চার পর এবার ফুচকা উৎসবের সূচনা করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যারা।


এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল জানান, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস এখন টাইটানিকের মতো ডুবন্ত জাহাজে পরিণত হয়েছে ৷ তাই আমরা এই ধরনের ফুচকা উৎসব করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’’

এদিকে, ফুচকা উৎসবে ফুচকা পেয়ে বেজায় খুশি স্থানীয় মহিলারা। ফুচকা খাওয়ার জন্য অনেকেই এদিন ভিড় জমান ৷

অগ্নিমিত্রা পাল এদিন আরও বলেন, ‘‘ চায়ে পে চর্চার পর ফুচকা উৎসব একেবারে নতুন ধরনের আয়োজন ৷ আমি নিজেও ফুচকা খেলাম ৷ এই ধরনের আয়োজনে জনসংযোগ বৃদ্ধি পাবে ৷ আগামীদিনে তা বাড়বে বলেই আমি মনে করি ৷’’

ফুচকা উৎসব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘বছরের ৩৬৫ দিন তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে থাকে ৷ একটা দিন মানুষকে ফুচকা খাইয়ে বিজেপির কোনও লাভ হবে না ৷ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেবেন ৷’’

শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে কোনও বক্তব্য না রেখেই মঞ্চ ছেড়ে নেমে যান। তাঁর ভূমিকার সমালোচনায় এখন নেমেছেন একের পর এক বিজেপি নেতা। কেন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে এত আপত্তি? এই প্রশ্ন তুলেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সায়ন্তন বসু থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল – কেউই বিঁধতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এর পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও ৷ রবিবার কুলতলির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ভিক্টোরিয়ায় তেমনই পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। বক্তৃতা না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর জবাব পেয়েছিল ওরা। তাতেও শিক্ষা হয়নি। নেতাজিকে যাঁরা অপমান করল, তাদের শিক্ষা দেবেন বাংলার মানুষ।’’