সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের সামনেই প্রার্থীকে রাস্তায় ফেলে মারধর।ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামা!জুতো-ঝাঁটা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখান হয়!উঠল গো ব্যাক স্লোগান!প্রতিবাদে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ হাড়োয়ার সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত ISF প্রার্থী কুতুবউদ্দিন ফাতেহীর! সব মিলিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে।


পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে সোমবার সকালে হাড়োয়া বিধানসভার শাসনে প্রচারে যান ISF প্রার্থী।অভিযোগ, ফলদি-বেলেঘাটা, পলতাডাঙা, আমিনপুর বাজারে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।সন্ডালিয়ায় পৌঁছলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, প্রার্থীর উপর চড়াও হন তৃণমূল কর্মীরা।


পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই প্রার্থী আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। কুতুবউদ্দিন ফাতেহীর অভিযোগ, প্রচার করছিলাম, আমায় মারধর করেছে, রাস্তায় ফেলে মেরেছে, জামা ছিঁড়ে দিয়েছে।


 


হাসানের তৃণমূল কংগ্রেস  অঞ্চল সভাপতি মেহেদি হাসান বলেছেন, বাম আমলে যারা অশান্তি করেছে এতদিন, তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারে এসেছিল, আমরা এলাকা অশান্ত করতে দেব না। তাই বিক্ষোভ দেখান হয়েছে।


 


বাম আমলেও বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে শিরোনামে উঠে আসত শাসন!শাসন কে শাসন করবে, তা নিয়েই বরাবরের রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব।এ আমলেও তার ব্যতিক্রম নেই!


 


এবারের নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করছে আইএসএফ।


 


ভোটের আগে রাজনৈতির উত্তাপ তুঙ্গে উঠেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির মধ্যে বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে। এরইমধ্যে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটছে। প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা এর আগেও সামনে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদারের ওপর হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ।


 


উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘিরে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী ও বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায় মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন। এই সময় ব্যারাকপুরের প্রশাসনিক ভবনের বাইরে দফায় দফায় অশান্তির দেখা দিয়েছিল।


 


এরইমধ্যে ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়  গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে মিনাখাঁর দক্ষিণ বারগা গ্রামে জলসা চলছিল। সেই আসরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। গুলিও চলে। দুটি পায়ে তিনটি গুলি লাগে তৃণমূল কর্মী বারিক মোল্লার। পরিবারের দাবি, সিপিএমত্যাগী নব্য তৃণমূল কর্মীরাই হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। গুলিকাণ্ডে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।