কলকাতা:  তাঁদের সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম হয়েছে টলিপাড়া। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সিনেমার প্রিমিয়ায়, তাঁদের পাশাপাশি উপস্থিতি নেটিজেনদের কাছে হট কেক। নুসরত জাহান ও যশ দাশগুপ্ত। ব্যক্তিগত সেই সম্পর্কের জল্পনা মিটতে না মিটতেই এবার তাতে রঙ লাগল রাজনীতির! অভিনেত্রীর হওয়ার পাশাপাশি নুসরতের রাজনৈতিক পরিচয় ছিল আগেই। তিনি তৃণমূলের সাংসদ। আর আজ গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন যশ দাশগুপ্ত।


ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিজেপিতে, কিন্তু পরিবর্তন দেখা গেল না নুসরতের ব্যবহারে। সবসময়ই বিজেপি শিবিরের তীব্র বিরোধিতা করে এসেছেন তিনি। আজও নিজের অবস্থান থেকে একটুও নড়লেন না নায়িকা। দিলীপ ঘোষের মন্তব্য়ের তীব্র নিন্দা করে ট্যুইট করলেন তিনি।


বুধবার দুপুরে দিলীপ একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূলের লোকেরা বলেন, তাঁদের নেত্রী মহিলা বলে তাঁকে আক্রমণ করা হয়। কিন্তু আপনারাই বলুন, একজন মেয়ে হয়ে অপর মেয়ের চরিত্রের দিকে আঙুল তুলতে পারে কী করে? এই রাজ্যে ধর্ষণ হলে দিদিমণি ক্ষতিপূরণের জন্য মূল্য বেঁধে দিয়েছেন ২০ হাজার, ৪০ হাজার, ৫০ হাজার।’


বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই টুইটটি পোস্ট করে তাঁরই পুরনো একটি মন্তব্যের উল্লেখ করে নুসরত তীব্র ভর্ৎসনা করেন। লেখেন, ‘প্রতিবাদ করলে মহিলাদের এ ভাবেই চরিত্রহনন করা হয়’। মন্তব্যের শেষে নুসরত লেখেন, ‘আবারও লজ্জাজনক মন্তব্য।’


আজ বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে হঠাৎ এসে উপস্থিত হন যশ দাশগুপ্ত। ততক্ষণে মঞ্চে এসে হাজির হয়েছেন পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস ও ত্রমিলা ভট্টাচার্য।  কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে আজ গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা।


তবে আজকের সাংবাদিক বৈঠকের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। আজ গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনিও। বিজেপিতে যোগ দিয়েই যশের মুখে বদলের কথা। বললেন 'সিস্টেমের মধ্যে থেকেই বদল করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমি এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান করি। আমি এখনও নিজেকে ওনার ভাই বলি।' নুসরতের সঙ্গে এবিষয়ে কথা হয়েছে কিনা সেটা নিয়েও মুখ খোলেন যশ। বলেন, 'নুসরত আমার বন্ধু। আমাদের বন্ধুত্ব জীবিকার সূত্রে। আমাদের পেশা অভিনয়। নুসরত তাঁর মতাদর্শে তৃণমূলে রয়েছে আমি আমার মতাদর্শে বিজেপিতে। আমার আরেক বন্ধু মিমিও তৃণমূলে রয়েছেন। কিন্তু আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করব। রাজনীতির রঙ এখানেই থাক। টলিউডে রাজনীতির রঙ না লাগানোই ভালো।'