হংসরাজ ভরদ্বাজ,পুরুলিয়া: নির্বাচন কমিশন বাংলায় পা রাখলে আসল খেলা শুরু হবে। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গতকাল দলের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনে এসে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। বিজেপি তো খেলতেই জানে না।  ওরা খুব বেশি হলে ইভিএমে খেলতে পারে, পাল্টা জবাব তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের।
২০২১-এর ভোটমুখী বঙ্গে একটাই রঙ্গ- ‘খেলা হবে’ স্লোগান।  তৃণমূলের সভা-সমিতি-মিছিলে এই স্লোগান।  একই স্লোগান তুলে তাল ঠুকছে বিজেপিও।  
বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে এই ‘খেলা হবে’ প্রসঙ্গ তুলেই চলছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হুমকির খেলা।  মঙ্গলবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে আদ্রা বেনিয়াশোল এলাকায় দলের নির্বাচনী কার্যলয়ের উদ্বোধন করতে এসে ‘খেলা হবে’ স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে নিশানা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি। পাল্টা জবাবে সেই ‘খেলা হবে’ প্রসঙ্গ তুলেছে তৃণমূল। পুরুলিয়া বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী জানান, ‘‘যেদিন নির্বাচন কমিশন আসবে সেদিন পুলিশকে বসিয়ে দেওয়া হবে আর বিজেপি খেলবে।  বিজেপি এমন খেলা খেলবে যে তৃণমূল কিছুই করতে পারবে না।  এতদিন তোমরা ফাউল খেলেছ, আমরা ডিফেন্সিভ খেলেছি।  প্রতি আক্রমণ শুরু হলে বুঝে নেবেন কী খেলা খেলছি।  বিজেপি সব খেলার জন্য প্রস্তুত আছে।’’
পুরুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমরা প্রথম থেকে খেলা খেলছি। খেলাটা আমরা জানি।  বিজেপি তো জানেই না মাঠ কোথায়, গোলপোস্ট কোথায়? নির্বাচন কমিশন এলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে, আর মানুষকে নিয়ে ভোটের ব্যালটে আমরা খেলব।  ওরা একটা খেলা খেলতে পারে ইভিএমের। সেটা আমরা আটকাব’। 


‘খেলা হবে’, এই স্লোগান বেশ ইঙ্গিতবাহী। রাজনীতির ময়দানে অনেক রকম খেলা হতে পারে।  তৃণমূল ও বিজেপি কোন খেলার কথা বলছে, সেটা তারাই জানে। তবে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণার পর আদর্শ আচরণবিধি চালু হলে খেলা ভাঙার খেলা দেখা যাবে কি? সেটাই দেখার।