কলকাতা: তমলুকের সভা থেকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। ফের বললেন, কালীঘাটেও ফুটবে পদ্ম। যদিও তাঁর মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। শুভেন্দু আজ বলেন, আমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটতে শুরু করেছে। রাম নবমীর আগে সব পদ্ম ফুটে যাবে। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। অধিকারী পরিবারের ৪ সদস্য জনপ্রতিনিধি। এর মধ্যে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। শুভেন্দুর ছোট ভাই তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দুও এখন ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে। শুভেন্দুর আরেক ভাই তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু এখনও দল ছাড়ার ঘোষণা করেননি। শুভেন্দুর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীও এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি শিশির এবং দিব্যেন্দুরও বিজেপিতে যাওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা? রামনবমী ২১ এপ্রিল। সূত্রের খবর, এপ্রিলের মধ্যেই বাংলায় বিধানসভা ভোট সম্পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন, বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর আগে না পরে, অধিকারী পরিবারের বাকি দুই জনপ্রতিনিধিও বিজেপিতে যাবেন?
নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটানোর পাশাপাশি এক্কেবারে কালীঘাটেও ভাঙন ধরানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেছেন, ১৬ ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতেও ফুল ফোটাব। শুভেন্দুর এই মন্তব্যে জল্পনা জোরাল হয়েছে, তাহলে কি খোদ তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির কাউকে আগামী দিনে বিজেপির পতাকা হাতে নিতে দেখা যেতে পারে? যদিও পাল্টা তৃণমূল বলেছে, আগে নিজেদের দল সামলান! প্রকাশ্যে অন্তত বিজেপির কোনও ভাঙন ধরানোর আগাম ঘোষণাকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেত্রীও। আজ পুরশুড়ার সভায় তিনি বলেন, যাঁরা বিজেপি-তে যেতে চাইছেন, তাড়াতাড়ি চলে যান। পায়ে গিয়ে পড়ুন! ট্রেন ছেড়ে দেবে না হলে! মাথা কেটে ফেলব তবু বিজেপির কাছে মাথা নত করব না। এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ নবগ্রামের মঞ্চ থেকে বলেন, সবাই দলে দলে তৃণমূল ছাড়ছে। আর কেউ তৃণমূলে থাকতে চায় না। বিধানসভা ভোটের আগে ভাঙাগড়ার এই খেলা চলবে। কিন্তু, তাতে লাভবান কোন দল হবে, তার উত্তর মিলবে ভোটের ফলাফলে।