রুমা পাল, কলকাতা: দেশের যেকোনও প্রান্ত থেকে আগামী দিনে ভোট দেওয়া সম্ভব হবে। ভোট দেওয়ার জন্য আর কেন্দ্রে যেতে হবে না। রিমোট ভোটিং-এর সাহায্যে ভোট দেওয়া যাবে তার মহড়াও কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে। ২৫ জানুয়ারি এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা। জানা গিয়েছে, রিমোট ভোটিং নিয়ে কাজ করছে আইআইটি চেন্নাই। ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। এছাড়াও কেরল, তামিলনাড়ু, অসম, পুদুচেরি-তেও বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটারদের ভোট মুখী করতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নতুন প্রযুক্তিতে রিমোট ভোটিংয়ের কথা জানান। ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে মুখ্য কমিশনার এ কথা বলেন।


জাতীয় ভোটার দিবস-কে স্মরণীয় করতেই নতুন প্রকল্পের কথা জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা। যে সমস্ত ভারতীয়রা বিদেশে পড়াশোনার জন্য গিয়েছেন বা কর্মসূত্রে রয়েছেন, তারা যাতে ভোট দিতে পারেন এবং সে ক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে যাতে ভোট দিতে পারে সে নিয়ে ও চিন্তাভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছেও প্রস্তাব পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতি বছরের মত এবছরও সারা দেশ জুড়ে পালিত হয়েছে জাতীয় ভোটার দিবস। ১৯৫০ সালে এই দিনটিতেই নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন ভোটারদের উৎসাহ দিতে ২০১১ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবসে পালিত হচ্ছে জাতীয় ভোটার দিবস। প্রতি বছরের মতো এ বছরও জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয় । দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কলকাতার উত্তীর্ণ সভাঘরেও পালিত হয় জাতীয় ভোটার দিবস। অনুষ্ঠানে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব এ দিনটির গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।


এছাড়াও নির্বাচন কমিশন এবার নিয়ে আসছে একটি নতুন অ্যাপ যেটি বুথ অ্যাপ নামে পরিচিত। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এই অ্যাপটি কার্যকর হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে বুথের ভিতরে প্রতি মুহূর্তের ছবি পৌঁছে যাবে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে এবং দিল্লির নির্বাচন কমিশনে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রায়ই অভিযোগ তোলে বুথের ভিতরে ছাপ্পা ভোটের সেক্ষেত্রে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হবে এই বুথঅ্যাপের মাধ্যমে এমনটাই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। কারণ প্রতি মুহূর্তের ছবি পৌঁছে যাবে নির্বাচন কমিশনে।


অন্যদিকে এদিনই সারা দেশজুড়ে লঞ্চ করা হয়েছে ই-এপিক। অর্থাৎ ই ভোটার কার্ড। ভোটার লিস্টের নাম উঠে গেলে আর ভোটার কার্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ডাউনলোড করা যাবে ভোটার কার্ড। ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে পুনরায় ডাউনলোড করা যাবে ভোটার কার্ড। এই ভোটার কার্ড দেখিও ভোট দেওয়া যাবে। ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন ভোটাররা ডাউনলোড করতে পারবেন। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে অন্যান্য ভোটাররা পারবেন নিজের ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে। দেশে এই প্রথম এই ধরণের ই-ভোটার কার্ড চালু হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন বেশকিছু নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছে যা আগে কখনও হয়নি।