দার্জিলিং:শিলিগুড়িতে গুরুঙপন্থী ২৫ জন নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিমল গুরুঙের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ নেওয়ার বিরোধিতা করে দল ত্যাগ বলে দাবি দলত্যাগী মোর্চা নেতাদের। পাহাড়ে আরও যোগদান হবে বলে দাবি করেছে বিজেপি। যোগদানকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল ও গুরুঙপন্থীরা।

গুরুং নাকি তামাং? কার হাতে পাহাড়ের কর্তৃত্ব থাকবে? এই দ্বৈরথে শীতের পাহাড়েও রাজনৈতিক উত্তাপ।আর এসবের মধ্যেই বিমল গুরুংপন্থী মোর্চা শিবিরে বড় সড় ভাঙন।শিলিগুড়িতে ২৫জন গুরুংপন্থী নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে।তালিকায় রয়েছেন বিমল গুরুংয়ের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা স্বরাজ থাপা,গুরুংপন্থী মোর্চা মুখপাত্র বিপি বাজগাই,গুরুং ঘনিষ্ঠ তরাইয়ের মোর্চা নেতা শঙ্কর অধিকারী।

রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন,এটা তো ট্রেলার। কয়েকদিন পরে পাহাড়ে আরও বড় যোগদান শিবির হবে। বিমল পাহাড়কে বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিজেপির হাত ছেড়ে, একুশের ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করেছেন বিমল গুরুং। এই কারণেই গুরুংয়ের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন দলত্যাগী মোর্চা নেতারা।

বিজেপিতে যোগদানকারী গুরুঙ্গপন্থী নেতা স্বরাজ থাপা বলেছেন, গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন নিয়ে বিমল গুরুঙ্গকে নেতা মেনেছিলেন। ।রাজ্যসরকারের পুলিশ পাহাড়ে জুলুম করেছে  । পাহাড়ে হিংসা ছড়িয়েছে। জেলে মোর্চা কর্মীরা বন্দি। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসর্মপণ করেছেন বিমল গুরুঙ্গ।  বিজেপির নেতৃত্বে পাহাড়ে লড়াই চালিয়ে যাব।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা(গুরুঙ্গ পন্থী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেছেন,এঁদের সঙ্গে অনেক আগে দলের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। এরা বিজেপিতে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।

বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলও। তৃণমূল নেতা ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, যাঁরা গেছেন তাঁরা আগেই মোর্চা ছেড়েছেন,  এতে কোনও ফারাক পড়বে না।

দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সমতলের ৪টি আসনের মধ্যে চোপড়া ছাড়া প্রতিটিতে নেপালি ভোট রয়েছে। যেমন রয়েছে আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা আসনে। অর্থাৎ, পাহাড়-সমতল মিলিয়ে প্রায় ১৪টি বিধানসভা আসনে গুরুংয়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা।শেষ অবধি গুরুংপন্থী মোর্চা নেতাদের দলে টেনে লাভবান হবে বিজেপি?  উত্তর মিলবে একুশের ভোটের ফলে।