সঞ্চয়ন মিত্র, হাওড়া: দল বদল হলেও বৈশালী ডালমিয়ার কেন্দ্র বদল হয়নি। বালি থেকে এবার বিজেপি প্রার্থী প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার মেয়ে। সারাদিন ঘুরছেন পাড়ায় পাড়ায়। গরমের মধ্যে সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ার দিকে তাই বাড়তি নজর। এপ্রিলের শুরুতে কলকাতা বা হাওড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 


এই গরমে রোদ মাথায় নিয়ে জোরকদমে প্রচার করছেন প্রার্থীরা। ব্যতিক্রম নন, বালির বিজেপি প্রার্থী বৈশালী ডালমিয়াও। ২০১৬-য় তৃণমূলের টিকিটে প্রথমবার বালি থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এবারও বালি থেকেই প্রার্থী প্রয়াত ক্রিকেট প্রশাসক জগমোহন ডালমিয়ার মেয়ে। দিনভর প্রচারের ধকল নিতে হাল্কা খাবারই পছন্দ তাঁর।  


সকালে জল-মুড়ি খেয়ে প্রচারে বেরোচ্ছেন। দুপুরে ফলাহার। শুধু ফল খেয়েই প্রয়োজনীয় এনার্জি ও শক্তি সঞ্চয় করছেন বৈশালী। ফলের মধ্যে থাকছে আপেল, কমলালেবু, কলা, শশা, পেঁপে সহ নানা মুরসুমী ফল। তবে ফলের মধ্যে আম সবথেকে প্রিয় বৈশালীর।  সকাল থেকে প্রচারের ফাঁকেই দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল থেকে সন্ধে। সন্ধে হলে হাল্কা স্ন্যাক্স খেয়ে নেন। রাতে বাড়ি ফিরে ডিনারে ভাত খান।  


ডিনারের প্লেটে থাকে ভাত। সঙ্গে সবজি ও মুরগির মাংস। পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরে শক্তির জোগান দেয়। সবজিতে থাকে প্রচির পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। মুরগির মাংসে থাকে প্রোটিন।  


রাতের এই আহারই তাঁর পাওয়ার মিল।  প্রচারে বেরিয়ে জল বেশি করে খাচ্ছেন। রাস্তায় পরিচিত মুখ দেখে অনেকে এগিয়ে দিচ্ছেন ডাব। রাজনীতিতে পা রাখা ২০১৬-য়,  বাবার মৃত্যুর পর।  প্রথমবার টিকিট পেয়েই বিধায়ক।  এবার একই কেন্দ্রে দল ছেড়ে এসে নতুন দলের টিকিটে ফের প্রার্থী। চ্যালেঞ্জটা নিতে তৈরি বৈশালী ডালমিয়া।