উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, নন্দীগ্রাম: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনির মধ্যেই নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় উঠল ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ। দাবি, সোনাচূড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস থেকে বিলি হল মুড়ি, বাতাসা। পাল্টা দাবি, গড়চক্রবেড়িয়ায় তৃণমূলের অফিস থেকে ভোটারদের দেওয়া হয়েছে কোল্ড ড্রিঙ্কস।


নন্দীগ্রামের বয়ালের বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার পর যখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ৷ তখন নন্দীগ্রামের আরেক প্রান্ত সোনাচূড়া ও গড়চক্রবেড়িয়ায় ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোটের জন্য ভেট দেওয়ার রীতিমতো প্রতিযোগিতা তৈরি হল! 


সোনাচূড়ায় বুথ থেকে একশো মিটারের মধ্যে তৈরি হয় বিজেপির অস্থায়ী বুথ থেকে ভোটারদের দেওয়া হয় মুড়ি, বাতাসা৷ বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই জানান, ‘‘ভোট দিয়ে এলে আমরা খাবারের ব্যবস্থা রেখেছি, মুড়ি-বাতাসা ৷’’
 
বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী অফিসের পাশেই ছিল তৃণমূলের অস্থায়ী ক্যাম্প। সেখানে তখন হাতেগোনা কয়েকজন। তারা অবশ্য এসব নিয়ে ভাবলেশহীন। নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ায় আবার ভোটারদের জন্য কোল্ড ড্রিঙ্কসের ব্যবস্থা করে তৃণমূল। আরও কিছু আয়োজন ছিল। 


কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় সেসব পণ্ড হয়ে যায়। গড়চক্রবেড়িয়ার তৃণমূল কর্মী জানান, ‘‘জল, ছোলা, মুড়ি, মিষ্টির ব্যবস্থা করেছিলাম, কিন্তু র‍্যাফ এসে ফেলে দিল সব, এত রোদের তাপ তাই কোল্ড ড্রিঙ্কসের ব্যবস্থা করেছি ৷’’


কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল হাতে নিয়েই ভোটের লাইনে দাঁড়ালেন ভোটাররা! নির্বাচনের দিন কোনও দলের তরফে এভাবে খাবারের আয়োজন ভোটারদের প্রভাবিত করার শামিল। তবে কোনওপক্ষই এই নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ করেনি।