উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সত্যজিৎ বৈদ্য ও সোমনাথ মিত্র: ‘চ্যাংড়া’, ‘শয়তান’-এর পর এবার ‘বাচাল ছেলে’। ফের নাম না করে আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্বাস সিদ্দিকিকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "একটা বাচাল ছেলে বিজেপির টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছে।"


তবে তৃণমূলকে জবাব দিতে করননি আব্বাসও।  ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বিজেপির থেকে টাকা এনে পদ্মচাষের জমি তৈরি করতে চাইছেন মমতা। 


২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৯টি বিধানসভা আসনে জিতেছিল তৃণমূল।  ২০১৯-এ বিজেপি এরাজ্যে চমকপ্রদ ভাল ফল করলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তারা থাবা বসাতে পারেনি। 


এই জেলার  ৩১টি আসনের সবক’টিতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি আসনের মধ্যে কুলপি, ক্যানিং পূর্ব, মন্দিরবাজার, মগরাহাট পশ্চিম, ভাঙড় ও মেটিয়াবুরুজ--- এই ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আব্বাস সিদ্দিকির দল। 


পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশই সংখ্যালঘু।  এই প্রেক্ষাপটে, এদিন সংখ্যালঘু ভোট ভাগ না করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, আমি সাম্প্রদায়িকতার দল করি না। আমি হিন্দু, মুসলিম নিয়ে চলি। ওই সব পচা দিয়ে হবে না। ওরা বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। হিন্দু মুসলমান কোনও ভাগাভাগি করবেন না।


জবাব দিয়েছেন আব্বাসও। বলেন, সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না আর হিন্দু ভোট ভাগ করুন, এটাই কী বার্তা দিতে চাইছেন। তাহলে আপনি কি প্রমাণ করতে চাইছেন, হিন্দুরা বিজেপিকে পছন্দ করে। এখানে কি হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক করতে চাইছেন। বিভাজন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন।


তৃণমূল নয়, সংযুক্ত মোর্চাই বিজেপিকে রুখতে পারে বলে দাবি করেছেন আব্বাস। বলেন, বিজেপির দাপটে তৃণমূল অনেক জায়গায় এজেন্ট দিতে পারছে না। সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরা অনেক জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। বিজেপিকে রোখা তৃণমূলের কাজ নয়।


পাল্টা দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বলেছেন, ক’দিন আর রাজনীতি করছেন। রাজনীতিতে দু-দিনের যোগী, মাত্র কটা সিটে লড়ছেন। 


এখন কে কার ভোট কাটবে, আর তাতে কার লাভ, আর কার ক্ষতি হবে, তা জানা যাবে ২ মে-র পর।