দীপক ঘোষ ও কমলকৃষ্ণ দে: সব ভাষাকে সম্মান করি বলেই দিদিকে বাংলায় ভাষায় চিঠি দিই। উচ্চারণে ভুল হলেও আমি চেষ্টা করি। তাঁর বাংলা উচ্চারণ নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষের এভাবেই জবাব দিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষাজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।


বিধানসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতায় বারবার শোনা যাচ্ছে বাংলা শব্দ! কখনও রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন, তো কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়েও, ভাঙা বাংলায় উচ্চারণ করছেন প্রধানমন্ত্রী।


ভোট প্রচারে মোদির মুখে বাংলা নিয়ে ইতিমধ্যেই বারবার কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, 'সোনার বাংলা ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না, তৈরি কী করবে?'


এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্যে এসে এক চিঠি চালাচালির গল্পের উল্লেখ করে পাল্টা জবাব ফিরিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমি বাংলা ভাষার চিঠি লিখে মমতাকে তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। তিনিও জবাব দিয়েছিলেন গুজরাটি ভাষায়। খুব ভালো লেগেছিল আমার। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি জানি আমার বাংলা উচ্চারণে ভুল ত্রুটি আছে। হিন্দিতেও আছি। কিন্তু আমি বাংলা বলি কারণ আমি এই সব ভাষাকে সম্মান দিতে চাই। কিন্তু তা নিয়েও দিদি আমায় ব্যাঙ্গ করে। 


এরইমধ্যে মোদির ‘দিদি’ সম্বোধনের এবার পাল্টা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূম তৃণমূল সভাপতি বলেন, আমি যদি প্রধানমন্ত্রীকে বলি, ‘নরেন ও নরেন’, তাহলে মানুষ আমাকে কি ভাল বলবে? প্রধানমন্ত্রীর ভাষাজ্ঞান নেই। দেশের জন্য কোনও ভাল কাজ করেননি নরেন্দ্র মোদি। তাতেও গদি ছাড়বে না। এবার ছারপোকা দিয়ে গদি ছাড়াতে হবে।


নরেন্দ্র মোদির সুরেলা ভঙ্গীতে দিদি উচ্চারণ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে চাপানউতোরের মধ্যেই, মোদির বাংলা উচ্চারণ নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ ঘিরেও, বাগযুদ্ধ সরগরম। 


মঙ্গলবার রাজ্যে এসে নরেন্দ্র মোদি ফের দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভোটে হারবেন, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কটাক্ষের সুরে বলেছেন, এটা দিল্লির লাড্ডু নয়, বাংলার ভোট।