অনির্বাণ বিশ্বাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ২ জায়গায় নকল ইভিএম নিয়ে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ। ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নকল ইভিএম দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন একজন। আর এক জায়গায় নকল ইভিএম তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। তৃতীয় দফার ভোটের দিন, মঙ্গলবার  একই বিধানসভা কেন্দ্রে ঘটেছে দুটি ঘটনাই।  


বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকার বেলেগাছির ১৪৯ নম্বর বুথের বাইরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূলের বুথ অফিসে বসে নকল ইভিএম নিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। আনোয়ার হোসেন সর্দার নামে ওই তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারুইপুর জেলা পুলিশের ডিএসপি ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘আমরা নকল ইভিএম নিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে ১ জনকে গ্রেফতার করেছি।’’


বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রেরই চক্রবর্তী আবাদ এলাকায় একটি বুথের বাইরে তৃণমূলের ক্যাম্পে নকল ইভিএম রেখে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে।  পরে পুলিশ এসে ওই নকল ইভিএম তুলে নিয়ে যায়।  বন্ধ করে দেওয়া হয় তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস।


তৃতীয় দফার ভোটে দফায় দফায় বিভিন্ন জেলা থেকে অশান্তির খবর আসে। একাধিক ঘটনা ঘটে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায়। বারুইপুর পূর্বের বেলেগাছির বিদ্যাধরী পল্লিতে বিজেপি নেতাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিদ্যাধরী পল্লির বিজেপির বুথ সম্পাদক খোকন মণ্ডল বলেন, ‘‘গতকাল রাতে আসে। মোবাইল কেড়ে নেয়। মারতে থাকে।’’


এরপর ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, বারুইপুর জেলা পুলিশের বিশাল পুলিশবাহিনী। বিষ্ণুপুরের মাগুরখালিতে তৃণমূলের বাধা অগ্রাহ্য করে ভোট দিতে যাওয়ায়, বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ার নোদাখালির ২০৫ নম্বর বুথের সামনেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ক্যানিং পশ্চিমের হিঞ্চেখালি গ্রামে গণেশ কেউট নামে এক বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম বিজেপি কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোটের আগের রাতে, বাসন্তীর হেদিয়াতে ১৪ এবং ১৫ নং বুথের বাইরে বোমাবাজি হয়। গুলি চলে। সকালে বুথের সামনে পড়ে বোমার সুতলি, গুলির খোল। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির।