বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ভোটের পরও রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল নন্দীগ্রামে। ভেটুরিয়ায় একে অন্যের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলল তৃণমূল-বিজেপি। বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।   


এবারের বিধানসভা ভোটে বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছে একটাই বিধানসভা কেন্দ্রের নাম। তা হল নন্দীগ্রাম। এক সময়ে যেখানে গড়ে উঠেছিল জমি আন্দোলন, আজ সেখানেই জমি রক্ষার লড়াই। তাই তো ভোট মিটে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও নন্দীগ্রাম নিয়ে তাল ঠোকাঠুকি চলছে সমানতালে। 


ভোট মিটলেও, অশান্তি অব্যাহত নন্দীগ্রামে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়ায় ভেটুরিয়ায়। এদিন সকালে একে অন্যের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীরা। উঠেছে ঘর ভাঙার অভিযোগও। ভেটুরিযার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জয়দেব মণ্ডল জানান, ‘‘আমি সকালে চায়ের দোকানে যাই, তখন আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে ৷’’


ভেটুরিয়ার তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী রাধা মণ্ডল জানান, ‘‘ওরা বাইরের লোক ঢোকাচ্ছে, বাধা দিতে গেলে মারধর করেছে।’’ যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভেটুরিয়ার এক বিজেপি কর্মী সন্দীপ মণ্ডল জানান, ওরা বলছে বাইরের লোক ঢোকাচ্ছ, প্রমাণ দিতে পারবে তো? ভেটুরিয়ার বিজেপি সমর্থক মাধুরী মণ্ডল বলেন, ‘‘ওরা এসে বলছে বাইরের লোক ঢোকাচ্ছে, তারপরই ছেলেকে মারধর করেছে ৷’’


গন্ডগোলের খবর পেয়ে ভেটুরিয়া গ্রামে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ।সংঘর্ষ থামাতে তৃণমূল ও বিজেপির দু-পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।


এদিন গন্ডগোলের সূত্রপাত, একটি দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের এক সমর্থককে ওষুধের দোকান খুলতে বাধা দেয় তৃণমূল। ভেটুরিয়ার বিজেপি কর্মীদের দাবি, ‘‘তৃণমূল গুন্ডা নিয়ে এসে হামলা করছে, আরও র‍্যাফ চাই। সিআরপিএফ চলে যাওয়ার পরই মারধর করছে ৷’’


যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁরা পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ তুলেছি বিজেপির বিরুদ্ধে। এলাকায় বিশাল পুলিশ ও র‍্যাফ মোতায়েন আছে ৷


বঙ্গবাসীর মুখে একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তাহল, নন্দীগ্রামের যুদ্ধে জিতবে কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শুভেন্দু অধিকারী? না কি বামেদের তরুণ লড়াকু নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়? সরকারিভাবে উত্তর জানা যাবে, ঠিক এক মাস বাদে।