কলকাতা: এলাকা চেনেন হাতের তালুর মতো। বাম আমলে মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ২০১১-র পরিবর্তনে তাঁকেও পাল্টে দিয়েছিল রায়দিঘি। হেরেছিলেন ২০১৬-তেও। এবার সেই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করেছে সংযুক্ত মোর্চা। আজকে রায়দিঘি কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থীর সম্পত্তির খতিয়ান৷


প্রার্থী বাছাইয়ে এবার তারুণ্যে জোর দিয়েছে বামেরা। সেই সঙ্গে ভরসা রাখা হয়েছে কিছু পোড় খাওয়া মুখের ওপরও। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদেরই একজন। রায়দিঘি বিধানসভাকেন্দ্রে এবার সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে লড়াই তৃণমূলের অলোক জলদাতা ও বিজেপি প্রার্থী শান্তনু বাপুলির। নাওয়া-খাওয়া ভুলে চলছে প্রচার। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রাজনীতিক। বাম আমলে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন। সামলেছেন ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরও। কিন্তু, ২০১১ সালে পরিবর্তনে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভরাডুবি হয় তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেবশ্রী রায়ের কাছে। ২০১৬-তেও গ্ল্যামারের কাছে হারতে হয় পোড় খাওয়া রাজনীতিককে।


রায়দিঘিতে ভোট বৈতরণী পার করাতে এবারও তাঁর কাঁধে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে বাম নেতৃত্ব। গত ১৭ মার্চ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। সেই সঙ্গে হলফনামা দিয়ে বিষয়-আশয়ের কথা জানিয়েছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে তাঁর আয় ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার ১০০ টাকা।  মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সিপিএম প্রার্থীর হাতে নগদ ছিল ৩ হাজার ৫৫০ টাকা। ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রায়দিঘির সিপিএম প্রার্থীর জমা আছে ১২ লক্ষ ৯২ হাজার ১৩৯ টাকা। বন্ড, শেয়ার, এনএসএস ও মিউচুয়াল ফান্ডে কোনও সঞ্চয় নেই কান্তির। নেই কোনও গাড়ি বা সোনাদানা। হলফনামা অনুযায়ী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৬৮৯ টাকা। 


শুধু অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দেওয়াই নয়, হলফনামায় রায়দিঘির সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী জানিয়েছেন,স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে তাঁর রয়েছে শুধু বাড়ি। যার বর্তমান মূল্য ১৭ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৮৯ টকার। ঋণ রয়েছে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮০০ টাকা। হলফনামায় কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।