প্রদ্যোৎ সরকার ও রুমা পাল, নদিয়া: ১২ সেকেন্ডের একটা ভাইরাল ভিডিও। তৃতীয় দফা ভোটগ্রহণের তিনদিন আগে তা নিয়েই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।


ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, কৃষ্ণনগর-উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায় বলছেন,"এদিকে আয়, এদিকে আয়। বাবা বিজেপি? ঘরে সবার কিন্তু মা বোন আছে, ভোটটা ভেবে দিবি।" এবিপি আনন্দ এই ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি। 


কৌশানীর এই ভিডিও শেয়ার করে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে- বাংলার মহিলাদের শাসাচ্ছেন কৌশানী, এটাই পিসির সংস্কৃতি। বাংলার মহিলারা পিসির শাসনে মোটেই সুরক্ষিত নন। 


কিন্তু বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, পুরো কথা না দেখিয়ে বক্তব্যের একটা অংশকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি।


 



 


কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, একটা ভিডিও রিসেন্টলি সার্কুলেট হচ্ছে। যেটা আমাদের বিরোধী আইটি সেল থেকে প্রোপাগেট হয়েছে অ্যান্ড সব জায়গায় ভাইরাল করা হচ্ছে। আমি বলেছিলাম বাংলায় দিদির শাসনে মহিলারা সুরক্ষিত। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, হাথরসে ভয়াবহ পরিস্থিতি। তাই ভোটটা যেন ভেবে দেয়। আমার বক্তব্যের একটা অংশ কেটে চালাচ্ছে। আমি আমার টিমকে বলব পুরোটা দেখাতে। 


এমনকী, নিজের বক্তব্যের সমর্থনে এদিন পুরো ভিডিওটিও দিয়েছেন কৌশানী। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "এদিকে আয়, এদিকে আয়। বাবা বিজেপি? ঘরে সবার কিন্তু মা বোন আছে, ভোটটা ভেবে দিবি। মা-বোনদের সুরক্ষার কথা ভেবে দিবি। দিদি না থাকলে মা-বোনরা সুরক্ষিত থাকত না।" এবিপি আনন্দ এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি। 


তবে তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর উত্তরকে গুরুত্ব না দিয়ে ভোটের মুখে আক্রমণ বজায় রেখেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলের ভাষা রপ্ত করে ফেলেছেন। ভবিষ্যৎ কী, ভোটে দাড়িয়ে বুঝতে পারছেন। যে ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন, প্রার্থী হিসেবেও তিনি সেই ভাষাতেই বলছেন। এটাই তৃণমূলীরা করেন। এটাই ওদের স্কুলিং।


আবার তাঁদের প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় মুখপাত্র শশী পাঁজা বলেন, আমার মা-বোন আমার। আর অন্যকে অপমান করে। বিজেপি এমনই। সেটাই বলার চেষ্টা করেছে। 


এই বিতর্কের মধ্যেই শনিবার আসাননগরের ডফরপোতায় প্রচারের সময় কৌশানীকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা।  পাল্টা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন তৃণমূল সমর্থকরা।  দু’ পক্ষের হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।