কলকাতা: রাজ্যে ভোটগ্রহণ পর্বের দু দফা সম্পন্ন হয়েছে সবে। বাকি এখনও ছয় দফার ভোটগ্রহণ। তারই মাঝে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে কুণাল ঘোষ ও শতাব্দী রায়ের তিন কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত কর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।


নির্বাচনী পর্ব চলাকালীন বাংলায় চিটফান্ড নিয়ে ফের তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। সারদা, নারদা সহ একাধিক মামলায় প্রভাবশালীদের জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। সারদা কাণ্ডে গত কয়েকদিন একাধিক প্রভাবশালীকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। কয়েকদিন আগে সারদা মামলায় কুণাল ঘোষকে জেরা করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনে কামারহাটি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রকেও জেরা করা হয়।


কয়েকদিন আগেই সারদার থেকে নেওয়া প্রায় দু'‌ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা ইডি-কে ফেরত দেন কুণাল। মার্চের শুরুতে তাঁকে জেরা করে ইডি। তখনই তৃণমূলের মুখপাত্র আবেদন করেন, সারদা চিট ফান্ড থেকে বেতন এবং বিজ্ঞাপন বাবদ তিনি যত টাকা নিয়েছিলেন, তা ফিরিয়ে দিতে চান। সেই আবেদন মেনে নেয় ইডি। জানা যায়, নিজের অ্যাকাউন্টে জমানো টাকা, এলআইসি পলিসি এবং ঘনিষ্ঠদের থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকা মিটিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের মালিকানাধীন একটি চ্যানেল এবং সংবাদ পত্রের শীর্ষপদে ছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই পদে থাকার জন্য যে বেতন নিয়েছিলেন, সেই টাকাই ফেরান তিনি।


আহত পা দোলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! 'বিজেপির দেউলিয়া রাজনীতি', তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের


তবে তার পরেও কুণাল ঘোষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একই সঙ্গে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে শতাব্দী রায়েরও। তিনি সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। বিশাল অঙ্কের টাকাও পেতেন। সারদা কাণ্ডের তদন্তে এখনও পর্যন্ত মোট ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। প্রসঙ্গত, সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল। তাঁকে সংশোধনাগারেও যেতে হয়েছিল। ২০১৩ সালে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য কুণালকে বরখাস্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরে ফের তাঁকে ফিরিয়ে নেয় দল। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র।