ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, আবীর দত্ত, সুদীপ্ত আচার্য: "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য কোনও আসন থেকে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। খুব ভাল করে নন্দীগ্রাম থেকেই জিতবেন তিনি।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যকে খণ্ডন করে জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। 


জল্পনার সূত্রপাত হয় প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্য ঘিরে। এদিন রাজ্যে প্রচারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে জল্পনা তৈরি করেন।


নন্দীগ্রামে হারের আঁচ পেয়ে এবার অন্য কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দেবেন না তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জল্পনা উস্কে দেন তিনি।


উলুবেড়িয়ার সভায় তিনি বলেন, একটা কথা শোনা যাচ্ছে। দিদি নাকি আরও একটি কেন্দ্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নের ফর্ম ভরছেন। দিদি, কথাটা সত্যি না কি? তবে তাতে লাভ হবে না প্রথমে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানকার মানুষ আপনাকে জবাব দিয়ে দিয়েছে। এবার অন্য কোথাও গেলেও একই জবাব পাবেন আপনি।


প্রার্থী ঘোষণার দিন হেঁয়ালির সুরে একটি মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, টালিগঞ্জে অরূপ বিশ্বাস। আমিও দাঁড়াতে পারি। 


এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার ভোট ঘিরে নন্দীগ্রামে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু অধিকারীর বারংবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া। 


আর তারপর অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়ন দাখিলের সম্ভাবনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রশ্ন তোলা। যা বঙ্গ ভোটের রঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করল! 


তাহলে কি অন্য কোনও আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিতে দেখা যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে?  


যদিও, জল্পনায় জল ঢেলে তৃণমূল এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য কোনও আসন থেকে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। খুব ভাল করে নন্দীগ্রাম থেকেই জিতবেন তিনি। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর অবিলম্বে ওনার বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। 


সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ হলেও, গোটা দেশের নজর ছিল একদিকেই, নন্দীগ্রাম।