রঞ্জিৎ সাউ, নিউটাউন: ভবানীপুরে নির্বাচনী প্রচার শুরু করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পুরো মন্ত্রিসভাকেই প্রচারে নামিয়ে দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে বিজেপিকে কতটা ভয় পাচ্ছেন। 


শুক্রবার, নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানেই তিনি একাধিক ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রসকে আক্রমণ করেন। 


আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, আমাদের লড়াই পুরোপুরি হবে। আমরা তো এখনও নামিনি। এখনও প্রার্থী ঘোষণা করিনি। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পুরো মন্ত্রিসভাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন। বুঝতেই পারছেন বিজেপির ভয় কতটা। 


ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে ক্রমশ চড়ছে পারদ। 


এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে, প্রচারে কোনও কসুর রাখছে না তৃণমূল। হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের মাঠে নামিয়েছে তৃণমূল। 


কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। গত নির্বাচনে তার মধ্যে ৬টিতেই এগিয়েছিল তৃণমূল। বাকি দুটিতে লিড পায় বিজেপি। 


সার্বিক ফলে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়েছিল সবচেয়ে বেশি ভোটে। আবার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে লিড ছিল বিজেপির। 


উপনির্বাচনে সেই দুটি ওয়ার্ড (৭৭, ৭৪)-সহ ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ও ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


বিধানসভা ভোটে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে রাখা হয়েছে রাসবিহারীর বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমারকে। 


পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব। ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে দিদিকে জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।