সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর (নদিয়া) : উৎসবের মধ্যে বাংলায় আরও এক ভোটযুদ্ধ। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, নদিয়ার শান্তিপুর ও কোচবিহারের দিনহাটায় উপনির্বাচন। শুধু শান্তিপুরে লড়াই চতুর্মুখী, বাকি তিন কেন্দ্র ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বিধানসভা ভোটে ৪ কেন্দ্রের স্কোরশিট ছিল ২-২। শনিবারের যুদ্ধের আগে, বাবলার অদ্বৈত পাঠে সময় কাটালেন তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী । শান্তিপুর দলীয় কার্যালয়ে বসে ঘুঁটি সাজালেন বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিলেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থী।
গত বিধানসভা ভোটে শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। তবে রাণাঘাটের সাংসদ পদ তাঁর পদ ছেড়ে বিধায়ক হিসেবে শপথ না নেওয়ায় উপনির্বাচন স্থির হয় শান্তিপুরে। এবারে বিজেপির কাছে তাই গড় রক্ষার লড়াই। অপরদিকে, তৃণমূলের কাছে লড়াই হারানো জমি ফিরিয়ে আনার। বিশেষ করে তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর আপাতত তাদের বাড়তি নজর শান্তিপুরে। বেশ কয়েকবার ভোটপ্রচারে গিয়ে যেমনটা বুঝিয়ে দিয়েছেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শান্তিপুর কেন্দ্রে মোট বুথ ৩৫৭। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৯৩। ডিসিআরসি হয়েছে রানাঘাট কলেজে। সেখানে চলছে জোরদার প্রস্তুতি। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৩০ অক্টোবর ভোটের দিন কোচবিহারের দিনহাটার ৪১৭টি বুথের দায়িত্বে থাকবে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নদিয়ার শান্তিপুরের ৩৫৯টি বুথে ২২ কোম্পানি। উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দার ৩৩৫টি বুথে ১৭ কোম্পানি। এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবার ৩৩০টি বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। একটি ভোটকেন্দ্রে যদি একটি বুথ থাকে, সেখানে থাকবেন ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ২ থেকে ৪টি বুথ থাকলে, ৮ জন। ৫ থেকে ৮টি বুথ থাকলে ১৬ জন এবং ৯ বা তার বেশি বুথ থাকলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২৪ জন জওয়ান।
আরও পড়ুন- লড়াইয়ের মঞ্চে মন্ত্রিসভার সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নজরে খড়দা বিধানসভা