সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: ভোটের মুখে শান্তিপুরে এক বিজেপি কর্মী-সহ ২ জনকে খুন। দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে আগামীকাল ১২ ঘণ্টা শান্তিপুর বিধানসভা এলাকায় বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
আজ সকালে নৃসিংহপুর মেথিডাঙা এলাকায় কলাবাগানের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় দুই স্থানীয় যুবক দীপঙ্কর বিশ্বাস ও প্রতাপ বর্মনের ক্ষতবিক্ষত দেহ।
পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেলে মোটরবাইক নিয়ে বের হয়েছিলেন দুই যুবক। রাতে বাড়ি ফেরেননি। দুজনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল পরিবারের দাবি।
সকালে থানায় গিয়ে মৃত প্রতাপ বর্মনকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করেন শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তবে কী কারণে জোড়া খুন খতিয়ে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, ভোটের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। আহত হন উভয়পক্ষের ৬ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের বেলেগাছিতে।
তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাতে প্রচার কাজ সেরে ফেরার পথে, তাদের কর্মীদের উপর লাঠি-রড নিয়ে চড়াও হয় আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ ও সিপিএম কর্মীরা। মারধরের জেরে আহত হন ৫ তৃণমূল কর্মী।
পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে, মৃত্যু হয় বছর ষাটের তৃণমূল কর্মী রুহুল আমিন মিদ্যা। আইএসএফের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএমের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। দু’ পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন সংযুক্ত মোর্চার ২ কর্মী।
এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় সংযুক্ত মোর্চার ৭ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোনারপুরের খেয়াদায় বাড়ির সামনে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন দলীয় কর্মী সুখলাল মিদ্যার উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
পিস্তলের বাট দিয়ে তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হামলা-যোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা।