অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: স্কুলের পাশাপাশি ভোটের ডিউটিতেও গুরুদায়িত্ব থাকে তাঁদের উপর। কিন্তু সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করায়  প্রশিক্ষণে যেতে নারাজ সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। অভিযোগ, এই কারণে আলিপুরদুয়ারে পেশায় শিক্ষক এমন প্রায় একশোজন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। জেলা তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের কো-অর্ডিনেটরের দাবি, তাঁকে এবং আরও অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এই শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন, আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষও।


 


তৃণমূলের দাবি, তাদের তরফে ২৭৪ জনের নামের তালিকা পাঠিয়ে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছিল। তারপরই আসে শোকজ লেটার।


 


আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানান, ‘‘পিপলস রিপ্রেজেন্টেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী কেউ সক্রিয়ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে, তিনি ভোটের কাজে যেতে পারেন না। তাই নেতা-নেত্রীরা ভোটের কাজে যাবেন না। শোকজ হলে উত্তর দেওয়া হবে। সক্রিয় কর্মীদের ভোটের দিন প্রয়োজন হবেই।’’


 


তৃণমূলের এহেন দাবি নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানান, ‘‘বিজেপির শিক্ষা সেলের অনেকেরই নাম আছে যাদের ভোট কর্মী তালিকা থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সকলেই প্রশিক্ষনে গেছেন। এটাই বিজেপির সাথে তৃনমূল শিক্ষক সংগঠনের তফাত ৷’’


 


যদিও এই শোকজের বিষয়ে জানার জন্য জেলাশাসকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।