সনৎ ঝা, দার্জিলিং: গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।  ওই দিনই শিলিগুড়ির কিছু জায়গায় জমিহীনদের জমির পাট্টা বিলির কর্মসূচি নিয়েছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। কিন্তু সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেন জেলাশাসককে।  তারপরই জেলাশাসকের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় পাট্টা বিলি।


 


মন্ত্রীর পাট্টা বিলিতে রাশ টানলেন জেলাশাসক!  গত শুক্রবারই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।  ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গেই  চালু হয়ে গেছে নির্বাচনী আচরণবিধি। 


 


এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার শিলিগুড়ির কিছু জায়গায় জমিহীনদের মধ্যে জমির পাট্টা বিলির তোড়জোড় শুরু করেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী তথা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দেব।  ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধানসভার যে অংশ শিলিগুড়ির মধ্যে পড়ে সেখানেই ২০২ জন গৃহহীনকে পাট্টা বিলির কর্মসূচি নিয়েছিলেন মন্ত্রী। এ নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার আর্বান ডেভেলপমেন্ট  ডিস্ট্রিবিউশন কমিটির অনুমতিও নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।  কিন্তু শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক তথা সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য কর্মসূচি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে চিঠি লেখেন জেলাশাসককে। তারপরই জেলাশাসকের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় পাট্টা বিলি।  


 


গৌতম দেবের দাবি, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই তিনি পাট্টা বিলি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিপিএম বিধায়কের আপত্তিতে তা হয়নি। পাল্টা অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, ২০১০ সালে পাট্টা বিলির জন্য ৬৪১ জন প্রাপকদের তালিকা তৈরি হয়।  কিন্তু এখন ৬৪১ জনকে বাদ দিয়ে ২০২ জনকে পাট্টা দিলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হতে পারত। 


 


শিলিগুড়ি পুরসভার সিপিআইএম নেতা ও প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২০১০- সালেই শিলিগুড়ির কয়েকটি ওয়ার্ডে ৬৪১ জন জমিহীনকে জমি দেওয়ার তালিকা তৈরি হয়েছিল। তাঁরা জমির খাজনাও দিয়েছেন।  ২০১৪ সাল থেকে গৌতম দেবের আপত্তিতেই পাট্টা দেওয়া যায়নি। ৬৪১ জনকে না দিয়ে ২০২ জনকে দেওয়া হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হত।’’


 


কর্মসূচির সময় নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।  মন্ত্রীর দাবি, তিনি ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।  পাল্টা সিপিএমের দাবি, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর মন্ত্রী পাট্টা বিলি করার তোড়জোড় করেছিলেন। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির সিপিএম নেতা দিলীপ সিংহও নির্বাচনী আচরণবিধির প্রসঙ্গ তুলে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বন্ধ পাট্টা বিলি।  সরগরম শিলিগুড়ির রাজনীতি।