ঋত্বিক মণ্ডল, পূর্ব মেদিনীপুর: দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্মভিটে সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও নগরোন্নয়ন দফতর। ভোটের আগে রাজনীতি করতেই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও, এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।


 


ভোটমুখী বঙ্গে বাঙালি আবেগ উস্কে দিতে নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ, সবার মুখেই ঘুরে ফিরে আসছে... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসু, শহিদ ক্ষুদিরাম, স্বামী বিবেকানন্দ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ঋষি অরবিন্দের মত মনীষীদের নাম!


 


এই অবস্থায়, এবার ভোটের মুখে দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্মভিটে সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে তুঙ্গে তরজা। কাঁথির দু’নম্বর ব্লকের চণ্ডীভেটি গ্রামে দেশপ্রাণের জন্মভিটে। সেটি সংস্কারের জন্য দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ১ কোটি টাকা । এবং রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন দফতর ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।


 


দেশপ্রাণের লক্ষ্য ছিল একটাই! পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করা! কিন্তু, আজকের ভারত তো রাজনীতিময়। তাই দেশপ্রাণের বাড়ি সংস্কার ঘিরেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জন্মভিটে অবহেলায় পড়ে রয়েছে, আর ঠিক ভোটের প্রাক্কালে গিমিক দিতে  দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও রাজ্য সরকারের ফান্ড থেকে বাসভূমি সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে... এই সরকার এই ভাবে সাধারণ মানুষকে ভাঁওতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’


 


পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য ঝড়েশ্বর বেরা জানান, সারা বছর বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের বাসভূমি অবহেলায় পড়ে থাকে, আর ভোট এলেই মনে পড়ে তাঁর কথা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। কাঁথি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা জানান ‘‘আমরা আগেই এলাকায় তৈরি করেছি অডিটোরিয়াম, স্কুল, এলাকায় বসানো হয়েছে তার মূর্তিও। যেহেতু এখন ভোট ঘোষণা হয়ে গেছে  তাই ভোটের পরে এই বরাদ্দের টাকা দিয়ে বাসভবন সংস্কার করা হবে।’’


 


রাজনীতিকে সমাজকল্যাণের সমার্থক মনে করতেন বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ৷ মেদিনীপুর ইউনিয়ন বোর্ডের কর-বন্ধ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। যোগ দিয়েছিলেন লবণ সত্যাগ্রহে। এক সময় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও নির্বাচিত হন। সেই দেশপ্রাণের জন্মভিটে সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা নিয়েই ভোটের মুখে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।