গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বুথ সভাপতি দুলাল ডোমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মৃতের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীকে দল থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন নব্য বিজেপিতে যোগদানকারী দুলাল ডোম। খুনের নেপথ্যে তাঁরই হাত রয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর। যদিও ফাঁসানো হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন দুলাল ডোম।


আদি বনাম নব্যের দ্বন্দ্বেই কি খুন হতে হল দুবরাজপুরের বিজেপি কর্মীকে? বীরভূমে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায়, বিজেপিরই বুথ সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পর, এই প্রশ্নই এখন জোরাল হচ্ছে। নিহত বিজেপির কর্মীর স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী পতিহার ডোম দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। সোমবার দলের কর্মিসভায় তাঁর স্বামীর সঙ্গে বচসা বাঁধে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুলাল ডোমের। অভিযোগ, পতিহারকে দল থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন দুলাল।  রাতে বাড়ি ফিরে আসার পর, ফের দুলাল ডোমের ফোনেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন পতিহার। আর ফেরেননি। মঙ্গলবার, তৃতীয় দফার ভোটের দিন, বাড়ির অদূরে, মাঠ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। 


মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী জয়শ্রী ডোম বলেন, ‘‘কাল কথা কাটাকাটি হয়। রাতে দুলাল ফোন করে। তারপরই বেরিয়ে যায়। আমি বিজেপি তৃণমূল বুঝি না। দুলালই খুন করেছে ৷’’ মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, বিজেপির বুথ সভাপতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ধৃত বিজেপি নেতা।


প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান,মৃত্যুর আগে বিজেপি কর্মী পতিহারকে মারধর করা হয়। মঙ্গলবার, বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দুবরাজপুর। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে, জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। পায়ে আঘাত লাগে দুবরাজপুর থানার ওসির। মাথা ফাটে এএসআই-এর। বিজেপি দাবি করে, খুনের নেপথ্যে তৃণমূল রয়েছে। যদিও, চাঞ্চল্যকরভাবে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার খুনের অভিযোগ তোলে বিজেপিরই বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে! এবার সেই ঘটনাতেই গ্রেফতারি।