কলকাতা: বিজেপির তারকা প্রার্থী তিনি। গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেই পেয়েছেন ভোটে লড়াইয়ের টিকিট। মঙ্গলবার টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন পূর্ব বেহালা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকার।
প্রচারের ফাঁকে এবিপি আনন্দকে অভিনেত্রী বললেন, ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, সবাই ভাল থাকুক, সুস্থ থাকুক। আগামীদিনগুলো আরও ভাল কাটুক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সবাই মিলে একটা সুন্দর সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছি। আমরা যাতে সবাই মিলে বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি সেই প্রার্থনাই করলাম।’
হরিদেবপুরের মহাত্মা গাঁধী রোড দিয়ে পদযাত্রা করেন অভিনেত্রী। প্রচারে বেড়িয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বললেন। কখনও আবার ঢুকে পড়লেন রাস্তার পাশের দোকানে। কারও দিকে বাড়িয়ে দিলেন ভরসার হাত। এক মহিলাকে আবার মাস্ক ঠিক করে পরিয়ে দিলেন। কেমন সাড়া পাচ্ছেন? পায়েল বলছেন, ‘মানুষ ভীষণভাবে সাড়া দিচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে এভাবে সরাসরি কথা বলতে পারা আমার কাছে একটা ভীষণ অন্যরকম অভিজ্ঞতা।’
বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করায় শুরুতে বেশ চমকে গিয়েছিলেন পায়েল। এবিপি আনন্দকে আগেই বলেছিলেন, ‘পূর্ব বেহালা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। আমি এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী মনোনীত হওয়ার একটু অবাকও। বেহালার সঙ্গে যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। বেহালার ওপর দিয়ে শ্যুটিং করতে গিয়েছি। প্রচুর বন্ধু-বান্ধবের বাড়ি বেহালায়। সমস্ত রাস্তাঘাট চিনি। মানুষের সুবিধা অসুবিধা জানতে চাই। সকলের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলব। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।’
তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূলের রত্না চট্টোপাধ্যায়। পায়েল বলছেন, ‘আমার বিরোধী ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। চেষ্টা করব দলের আস্থাকে মর্যাদা দিতে। বেহালার মানুষ আমার ওপর বিশ্বাস রাখলে নিজের একশো শতাংশ দেব।’ যোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ রয়েছে। পুরো দল আমার সঙ্গে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগদান করে পায়েল বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে নাকি কথাবার্তা চলছিল অনেকদিন থেকেই। আমি সবসময়ই সাম্প্রতিক ঘটনার খবর রাখতে, সেইসব নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসতাম। তবে সরাসরি রাজনীতিতে যোগদানের কথা ভাবিনি কখনও। সত্যি কথা বলতে এর আগে যোগদানের অফার পাইনি। যখন অফার পেলাম, মনে হল এটাই সঠিক সময়।’
মানুষের কাজ করার জন্য সিস্টেমের প্রয়োজন। কিন্তু বিজেপিকে কেন বেছে নিলেন পায়েল? উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদিকে অনুসরণ করছি। বিজেপি সরকারের আমলে ভারতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমন অনেক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ বিজেপি সরকার নিয়েছে যা অন্য কোনও সরকার নিতে পারেনি। এমন ছোট ছোট অনেক কিছু জিনিস আমায় আকর্ষণ করেছে।’