দীপক ঘোষ, নন্দীগ্রাম: একুশের ভোটে ভরকেন্দ্র নন্দীগ্রাম। ১২ মার্চ নন্দীগ্রাম আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিন থেকেই বিজেপির হয়ে প্রচার শুরু করতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপি সূত্রে যা খবর, তাতে শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র থেকেই ‘মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট’র প্রচার শুরুর সম্ভাবনা উজ্জ্বল।


যুদ্ধের দিন ঘোষণার পর যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গিয়েছেন এক যোদ্ধা। রণভূমিতে অবতীর্ণ হয়ে ছোটালেন গণআবেগের রথ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাসুলি মন্দিরে ঢুকছেন। শঙ্খ বাজছে নাগাড়ে ৷ এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে মঙ্গলবার ৷


২০০৭ সালে জমি রক্ষার আন্দোলনের সময় আটপৌরে গ্রামবাসীদের সমবেত শঙ্খধ্বনি শোনা যেত নন্দীগ্রামে। ১৪ বছর পর আবার এক মহাসংগ্রামের সাক্ষী হতে চলেছে রাজ্যে ‘আমরা-ওরা’-র প্রথম রক্তাক্ত অভিজ্ঞান নন্দীগ্রাম। ভোটের আবহে সোনাচূড়ার বাসুলি মন্দিরের শঙ্খধ্বনিতেও এখন যেন যুদ্ধনাদ। মমতা বাসুলি মন্দিরে। শঙ্খ বাজছে নাগাড়ে ৷ মহাযোদ্ধার নিজের হাতে তৈরি গনগনে গরম চায়ে যেন টগবগিয়ে ফুটছে লড়াইয়ের অ্যাড্রিনালিন। তাল ঠুকছেন তিনিও। যুদ্ধের ময়দানে তাঁর আত্মপ্রকাশকেও আবির্ভাবের চেহারা দিতে তৎপর গেরুয়া শিবির।


১২ মার্চ নন্দীগ্রাম আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিন পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রের সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷ বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারীর মনোনয়নপত্র দাখিলকে ঘিরে বড় রোড-শো আয়োজন করা হচ্ছে। ওই রোড-শোতে থাকতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী।


৭ মার্চ বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলিউডের ব্র্যান্ড বাঙালি অভিনেতা। গেরুয়া শিবির সূত্রে এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে ‘মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট’র প্রচারে নামার সম্ভাবনা দারুণ ভাবে উজ্জ্বল। সূত্রের খবর, গত ৭ মার্চ বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে মঞ্চের পিছনে গ্রিনরুমে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মিঠুন চক্রবর্তীকে বলেন, তিনি যেন ১২ মার্চ থেকে রাজ্যে প্রচার শুরু করে দেন ৷ আর শুভেন্দু অধিকারীও মনোননয়নপত্র জমা দিচ্ছেন ১২ মার্চ। সেকারণে মনে করা হচ্ছে ওই দিনই তাঁর রোডশো থেকে রাজ্যে প্রচার শুরু করবেন মিঠুন চক্রবর্তী।


৭ মার্চ বিজেপির ব্রিগেডে বাংলা ছবি অভিমন্যুর সংলাপ আউড়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল অভিমন্যু নাগ। মহাভারতের অভিমন্যু চক্রব্যূহ ভেদ করলেও, সেখান থেকে বেরোতে পারেননি। সেলুলয়েডের অভিমন্যু নন্দীগ্রামের চক্রব্যূহে কী করেন, এখন সেটাই দেখার।