অরিন্দম সেন, ঋত্বিক মণ্ডল ও সত্যজিৎ বৈদ্য, আলিপুরদুয়ার ও কলকাতা: আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে ফের একবার শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল ভাইপো-কটাক্ষ। যা নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। এদিকে, খেলা হবে স্লোগান নিয়ে শুভেন্দু আর মদনের মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বৈরথ।
তোলাবাজি, কয়লা পাচার, বালি চুরি, চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, গরু পাচারের অভিযোগের পর এবার চশমা বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ। নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে নতুন অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার আলিপুরদুয়ারে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের চোখের আলো প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। নাম না করে অভিযুক্ত করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু বলেন, ‘চোখের আলো প্রকল্পেও কাটমানি আছে। চশমা বিলি থেকেও ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির কমিশন আছে।’
চোখের চিকিৎসা ও অন্ধত্ব দূর করতে ৫ জানুয়ারি ‘চোখের আলো’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে ৫ বছরে ২০ লক্ষ বয়স্ক মানুষের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করা হবে।
এমনকি প্রয়োজন অনুসারে বিনামূল্যে চশমাও দেবে সরকার। আর এই প্রকল্প নিয়ে শুভেন্দু তোপ দাগতেই পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তথা তৃণমূল নেতা তারক সিংহ বলেছেন, ‘অসত্য কথা বলা হচ্ছে। এমন রাজনীতি আগে দেখিনি, শুধু শুধু একটা লোককে চোর কেন বলা হবে?’
এদিকে, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বিজেপিকেই হুমকি ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তাঁর হুঙ্কার, ‘রাম মানে শুধু রামই নয়, রামদাও বোঝায়। চামড়া গোটানো হবে।’
পাল্টা রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি ভারতী ঘোষ বলেছেন, ‘রামদার জবাব মানুষ দেবে। তুই তোকারি ওরা করে, তাই চামড়া গোটানোর কথা বলা স্বাভাবিক।’
মদন মিত্র যখন রামদা প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে হুমকি দিচ্ছেন, তখন আলিপুরদুয়ারের সভায় শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। ‘খেলা হবে, পদ্মফুলের মেলা হবে, তৃণমূলকে ফেলা হবে।’
অন্যদিকে, মদন বলেছেন, ‘তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট ঘরে ঘরে। এমন ফেলা হবে যে হলদী নদীতে জায়গা হবে না। খেলার মশলাও মজুত আছে।’
যদিও মদনের একথার গুরুত্বই দিলেন না শুভেন্দু। তাঁর কটাক্ষ, ‘২১ মাস জেল খাটা নেতার কথার জবাব দেব না।’
সবমিলিয়ে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসক-বিরোধীদের গরমাগরম মন্তব্যে জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি।