অমিত জানা ও সোমনাথ দাস, চন্দ্রকোনা: ভোট পরবর্তী অশান্তি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। মোহনপুরে মার খেলেন চার তৃণমূল কর্মী। বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও মানতে চায়নি বিজেপি। এদিকে, জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলায় চন্দ্রকোণায় চার বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
কোথাও ভোট মিটেছে। কোথাও তিনদিন পর ভোট। নির্বাচনের মধ্যেই রক্ত ঝরল পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ও চন্দ্রকোণায়। গতকাল ভোট শেষ হতে না হতেই সংঘর্ষে দাঁতনের মোহনপুরে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি। গতকাল রাতে রেমু গ্রামে তৃণমূল সমর্থকদের পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর হয়। আহত হন চার তৃণমূল কর্মী। এরপর আজ সকালে মোহনপুরের নীলদা গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। দুটি ক্ষেত্রেই আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পতাকা ছেঁড়া ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মোহনপুরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ পাত্রর অভিযোগ, বিজেপি তাণ্ডব চালায় রেমু গ্রামে। গতকাল আমাদের চারজন মার খায়। সকাল থেকে গুন্ডারা হামলা চালায়। মারধরের পাশাপাশি বাড়ি লুঠ হয়, আমরা কমিশনে জানিয়েছি।’
পাল্টা মোহনপুরের ঘটনায় জনরোষের তত্ত্ব খাড়া করেছে গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি নেতা কমল পণ্ডিতের দাবি, ‘আমাদের দলের কেউ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। বেশ কয়েকটি বুথে ছাপ্পা মারতে যায় তৃণমূল। তারই প্রতিরোধ হয়।’
এদিকে ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল চন্দ্রকোণার গুয়াডাঙা। অভিযোগ, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলায় চার বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়। এই নিয়ে চাপানউতোরে জড়িয়েছে দুই দল। চন্দ্রকোনার বিজেপি প্রার্থী শিবরাম দাসের অভিযোগ, ‘আমাদের মারধর করেছে। পুলিশকে দিয়ে তৃণমূল এটা করাচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে জানাব।’
পাল্টা চন্দ্রকোনা ২-এর তৃণমূল ব্লক সভাপতি জগজিৎ সরকারের দাবি, ‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পারিবারিক গন্ডগোলের জের। একজন মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ করে। দলের কেউ এটা করেনি।’
সবমিলিয়ে ভোট পর্বে থামছে না হিংসা।