কলকাতা: ছোটবেলায় রং দেখলেই ভয় লাগত খুব। অথচ বাড়িতে প্রত্যেক বছর আসত একগাদা বাঁদুরে রং। রুপোলি.. সোনালি আরও কত কী.. ভয়ে বাড়ির সবার ছোট মেয়েটা লুকিয়ে থাকত ঘরে। কিন্তু একটু পরেই সেখানে হাজির হয়ে যেত বড় দাদা-দিদিরা। তারপর জোর করে ধরে রং মাখানো। এখন অবশ্য মল্লিক বাড়ির ছোট্ট সেই মেয়ে কোয়েলের মনে হয়, সেইদিন রং না মাখলে আফশোস থেকে যেত চিরকাল।
সাদা পোশাক, খোলা চুল আর গালে অল্প আবির। দোলের উৎসবে হালকা সাজেও মোহময়ী অভিনেত্রী কোয়েল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেন শৈশবের দোলের স্মৃতি। আজ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সবাইকে দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাতে। সেইসঙ্গে নিজস্ব ভঙ্গিমায় কোয়েল বলেছেন মল্লিকবাড়ি তার তাঁর ছোটবেলার গল্প। অভিনেত্রী বলছেন, 'ছোটবেলা থেকেই রঙে আমার খুব ভয়। আর বাড়িতে প্রত্যেকবার বাঁদুরে রঙ আসত। সেইসব দেখে আমার কী কান্না। বাবাকে গিয়ে বলতাম, 'এমন একটা জায়গায় আমায় লুকিয়ে রাখো যাতে কেউ না খুঁজে পায়।' আমাদের বাড়িতে অনেক ঘর ছিল। প্রতিবার একটা ছোট্ট ঘরে নিয়ে গিয়ে বাবা আমায় বলতেন, 'তুই এই ঘরটায় থাক, তাহলে তোকে আর কেউ খুঁজে পাবে না।' আর আমিও সরল বিশ্বাসে সেখানেই লুকিয়ে পড়তাম। কিন্তু তার একটু পরেই দেখতাম বড় দাদা দিদিরা সব্বাই চলে এসেছে। আমায় বের করে নিয়ে গিয়ে ঠিক রং মাখিয়ে দিত। পরে অবশ্য জেনেছিলাম, বাবা নিজেই গিয়ে বড়দের কাছে বলতেন, ' তোরা কি কোয়েলকে খুঁজছিস? ও ওই ঘরে লুকিয়ে আছে যা... ভাবুন কী চরম বিশ্বাসঘাতকতা! কিন্তু কি আর করা যাবে, বাবা তো। প্রত্যেক বছর তাই সরল বিশ্বাসে আমি ওই ঘরটাতেই লুকোতাম।'
এখানেই শেষ করলেন না কোয়েল। যোগ করলেন, 'এখন মনে হয়, সেইসব বছরে রং না মাখলে খুব বড় জিনিস মিস হত।' সবাইকে কেবল দোলের শুভেচ্ছা নয়, ভিডিওর শেষভাগে সবাইকে সতর্কতার বার্তাও দিলেন কোয়েল। করোনা পরিস্থিতি ও অন্যান্য সতর্কতা মাথায় রেখেই রঙের উৎসবে মিশে যেতে বললেন অভিনেত্রী
সামনেই মুক্তি পাচ্ছে কোয়েলের নতুন ছহি 'ফ্লাইওভার'। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে ট্রেলার। আপাতত নতুন ছবি নিয়েই ব্যস্ত কোয়েল