নয়াদিল্লি: লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর রেওয়াজ, যে নিয়ম চলে আসছে ১৯৮০ থেকে। সোমবার এমনই বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর এমনটাই।


ভোটমুখী বঙ্গে নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগেই রাজ্যে আসতে শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার রাজ্যে প্রথম পা রেখেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসার কথা। আর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেভাগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পড়া নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক চাপানউতোর।


চলতি বিতর্কের মাঝে তাই বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের পদক্ষেপ স্বপক্ষে বার্তা দিয়েছে। সংবাদসংস্থার দেওয়া খবর অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিআরপিএফ-দের পাঠানো হয়ে থাকে। কোন কোন জায়গাগুলি স্পর্শকাতর তা আগেভাগে বুঝে নিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়া চলে আসছে ১৯৮০ সাল থেকেই।’


নির্বাচন কমিশন তাদের বিবৃতিতে জুড়েছে, ‘২০১৯ সালে গত লোকসভা ভোটের আগেও বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আগেভাগেই পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আর শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, বিধানসভা ভোট হতে চলা অপর তিন রাজ্য কেরল, অসম, তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরীতেও আগেভাগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে।’


রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পা রাখার আগে থেকেই চড়ছিল তৃণমূল-বিজেপি তরজা। তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পড়ার পর বাগযুদ্ধের বহর আরও বেড়েছে। একাধিক তৃণমূল নেতা যে বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছে। এমনকি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,‘কেন্দ্রীয় পুলিশ নিয়ে আসবে ভয় পাবেন না। বেশি ভয় দেখালে বাড়ির মেয়েরা খুন্তি নিয়ে দাঁড়াবে। নিজের এলাকায় নজর রাখুন, অনেক জায়গায় টাকা দেওয়া হচ্ছে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। ফর্মুলা দেখে এলাকা দখল করতে গুণ্ডা নিয়ে আসছে বিজেপি। বহিরাগতদের ঢুকতে দেবেন না। রথযাত্রা ফ্লপ, বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে আনছে। প্রতিদিন লোক নাকি হামলা করে ? আগে নিজেদের সামলাও। পুরাতনরা কেউ নেই, কিছু এঁচোড়ে পাকা আছে, তারাই বিজেপিকে খেয়ে নিচ্ছে। ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতবে তৃণমূল।'