করুণাময় সিংহ, মালদা: প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভের আঁচ এবার মালদার কোতোয়ালি ভবনে। রতুয়ায় দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতায় কোতোয়ালি ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ। যদিও বিক্ষোভ আমল দিতে চায়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূলের পর বিজেপির প্রার্থী নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের সাক্ষী রাজ্যবাসী...এবার প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধল একদা কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত মালদায় ৷


ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ল মালদার প্রবাদপ্রতিম নেতা গনিখান চৌধুরীর কোতোয়ালি ভবনে। যে বাড়িতে থাকেন আবু হাসেম খান চৌধুরী, ঈশা খান চৌধুরী, মৌসম নূরের মতো জেলা কংগ্রেস ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। বছর দুয়েক আগে সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নাজিমা খাতুনকে রতুয়ায় প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। দল বদল করা নেত্রীকে কোনওভাবেই মানতে রাজি নন রতুয়ার কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ। রতুয়ায় প্রার্থীবদলের দাবিতে সোমবার কোতোয়ালি ভবনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কয়েকজন বিক্ষোভকারী কোতোয়ালি ভবনের ভিতরেও ঢুকে পড়েন। রতুয়ার কংগ্রেস কর্মীর কথায়, ‘‘টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করেছে নেতৃত্ব, প্রার্থী বদলাতে হবে, বদল না হওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে ৷’’


দ্বন্দ্ব থাকলেও. কংগ্রেস নেতৃত্ব আশাবাদী কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে ক্ষোভ মিটে যাবে। সুজাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘সতেরোজনের নাম এসেছিল তার ভিত্তিতে প্রার্থী করা হয়, ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন কর্মীরা, কিছুদিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে ৷’’


কংগ্রেসের খাসতালুকে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ সামনে আসায় খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। গতবার কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে রতুয়ায় জিতলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন সমর মুখোপাধ্যায় ৷ এবার তাঁকেই তৃণমূল প্রার্থী করেছে ৷ অন্যদিকে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন নাজিমা খাতুন ৷ বিজেপি প্রার্থী করেছে অভিষেক সিঙ্ঘানিয়াকে ৷ আগামী ২৬ এপ্রিল রতুয়ায় ভোট ৷


প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী অবশ্য় এই বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ। এদিন নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি স্বীকার করে নেন, ইচ্ছা থাকলেও অনেককে টিকিট দিতে পারেননি। বলেন, ‘ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকবেই, ইচ্ছা থাকলেও অনেককে জায়গা দিতে পারিনি।’


একইসঙ্গে, তিনি এ-ও দাবি করেন, চলতি নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার চাহিদা তুঙ্গে। তিনি বলেন, ‘২০২১-এ কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার চাহিদা তুঙ্গে। কংগ্রেসের প্রতি আশা-ভরসা বাড়ছে। ২০২১-এ যা প্রতিযোগিতা, তা ২০১৬-য় দেখিনি। টিকিটের এমন চাহিদা অকল্পনীয়। বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের ভবিষ্যত্‍ উজ্জ্বল।’