উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: শুক্রবারই যৌথ প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে পারে সিপিএম, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছে সিপিএম। একঝাঁক ছাত্র ও যুব নেতাকে প্রার্থী করতে পারে তারা।


 


তৃণমূল-বিজেপির প্রার্থী তালিকায় যখন তারকা চমক থাকার সম্ভাবনা, তখন দীর্ঘদিনের বৃদ্ধতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এবারের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছে সিপিএম। একঝাঁক ছাত্র ও যুব নেতাকে প্রার্থী করতে পারে তারা। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় রক্তাক্ত পড়ুয়া সাংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ এবার প্রার্থী হতে পারেন। দুর্গাপুর পূর্ব কিংবা দুর্গাপুর পশ্চিমের মধ্যে যে কোনও একটি আসনে ঐশীকে প্রার্থী করা হতে পারে।


সূত্রের খবর, নতুনদের মধ্যে গৌতম দেবের ছেলে সপ্তর্ষি দেব রাজারহাট নিউটাউন, শতরূপ ঘোষ কসবা,দেবজ্যোতি দাস খড়দা,সৃজন ভট্টাচার্য কিংবা সুমিতা হর চৌধুরী বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী হতে পারেন। এসএফআই-এর সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধরকে বালি থেকে প্রার্থী করতে পারে বামেরা।


 


ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বরানগর,ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় দুর্গাপুরের কোন একটি আসনে,বেহালা পশ্চিমে নিহার ভক্ত,বেলেঘাটায় রাজীব বিশ্বাস,মানিকতলায় রাজীব মজুমদার অথবা রুপা বাগচী,কাশিপুর বেলগাছিয়ায় প্রতীপ ঘোষ কিংবা কনীনিকা ঘোষ সিপিএমের প্রার্থী হতে পারেন।


 


সিপিএম সূত্রে খবর, যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হতে পারেন বর্তমান বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য দাঁড়াতে পারেন পুরনো কেন্দ্র দমদম উত্তরেই।


 


মানস মুখোপাধ্যায়ও আগেরবারের জেতা কেন্দ্র কামারহাটি থেকে প্রার্থী হতে পারেন।হুগলির চণ্ডীতলা থেকে দাঁড়াবেন পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম।


 


সূত্রের খবর, শুক্রবারই প্রথম দু’দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে পারে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ। প্রথম দু’দফায় যে ৬০টি আসনে ভোট রয়েছে, তা নিয়ে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের মধ্যে কোনও জট নেই। সূত্রের খবর এই ৬০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১৩টি আসনে প্রার্থী দেবে। বাকি আসনে প্রার্থী দেবে বাম ও আইএসএফ। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান, ‘‘আজকালের মধ্যে করে ফেলব সবটাই...’’৷ অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান ‘‘সমস্যা নেই। একসঙ্গে তালিকা প্রকাশ হবে ৷’’


 


সূত্রের দাবি, বুধবার রাতে জোট নিয়ে বৈঠকের পরই অধীর চৌধুরীকে ৯২টি আসনের তালিকা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২-৪টি আসনের ক্ষেত্রে কিছু রদবদল হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে জোট শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিমান বসু ও সূর্যকান্ত মিশ্র।


 


অন্যদিকে, নির্বাচন কমিটি, স্ক্রিনিং কমিটিতে ঝাড়াই বাছাইয়ের পর কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকা সাধারণ ঘোষণা করে আইসিসি। সূত্রের খবর, এই প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সেরে ফেলা হয়, সেব্যাপারে উদ্যোগী হন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতারা। তারপরই একসঙ্গে প্রথম দু’দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে দেবে বাম-কংগ্রেস এবং আইএসএফ।