সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: চোখের আলো প্রকল্পে চশমা বিলি করায় আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। জেলাশাসকের কাছে নালিশ জানিয়েছে বিজেপি। যদিও এতে দোষের কিছু দেখছে না তৃণমূল। অনেক আগে থেকেই দিন ধার্য, মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে বদলানো হয়নি, বক্তব্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।


 


বুধবার সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল বিলির পর, বৃহস্পতিবার চোখের আলো প্রকল্পে চশমা বিলি। ফের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনায়। বৃহস্পতিবার, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকারি, চোখের আলো প্রকল্পে প্রায় ২০০ জনকে চশমা বিতরণ করা হয়।


 


নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেও কেন চশমা বিলি করা হল? নিয়মনাস্তির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। জেলা শাসকের কাছে চিঠি দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের নালিশ জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের বলে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর একটি কৌশল নিয়ে এই চশমা বিতরণ শুরু করেছে।’’


 


যদিও এতে অন্যায়ের কিছু দেখছে না তৃণমূল। দেগঙ্গার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অরূপ বিশ্বাস জানান, ‘‘যে চশমা বিতরণ শুরু হয়েছে তার নির্বাচনের আগে থেকে তাদের তারিখ দেওয়া ছিল। অর্থাৎ কোন চলমান কাজ নির্বাচনের মুখে বন্ধ করা যায় না। বিজেপি সব বিষয় রাজনীতি করার চেষ্টা করে। এতে তৃণমূলের কিছু যায় আসেনা।’’


 


দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর  ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের দিন ঘোষণার অনেক আগেই চশমা বিতরণের দিন ঠিক করা হয়েছিল। সাধারন মানুষের কথা ভেবেই প্রকল্প বন্ধ করা হয়নি। বুধবার, বারাসাতের ‘সত্যভারতী বিদ্যালয়’-এর পড়ুয়াদের ‘সবুজ সাথী’-প্রকল্পের সাইকেলে বিলি করা হয়। এই ঘটনায় আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার অভিযোগ ওঠার পরই, সাইকেল বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, সরকারি প্রকল্পে চশমা বিলি ঘিরে একই অভিযোগ উঠল।