ডোমকল: ডোমকলে সিপিএম কর্মীকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত আরও দু’জন সিপিএম কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটের আগের রাতে গ্রামে সভা করছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জাফিকুল ইসলাম। বাধা দেওয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি তিন সিপিএম কর্মীকে চাপা দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত আব্দুল কাদেরকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে খুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন, এমনটাই দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।
গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম অবস্থায় তিন জন সিপিএম কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই কাদের আলি মণ্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি দু’জনকে পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই গ্রামে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে।
ভোটের দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ডোমকল। বুথের বাইরে বেআইনি জমায়েত। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রামে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন জওয়ানরা।
আজ, বৃহস্পতিবার অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফায় চারটে জেলার ৩৫টি আসনে ভোট। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতার ৭টি, মালদার ৬টি, মুর্শিদাবাদের ১১টি এবং বীরভূমের ১১টি আসন। ২৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রায় ৮৫ লক্ষ ভোটার।
মালদার ৬টা আসন হল, মানিকচক, মালদা, ইংরেজবাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর ও বৈষ্ণবনগর।
মুর্শিদাবাদের ১১টা আসন হল, খড়গ্রাম, বড়ঞা, কান্দি, ভরতপুর, রেজিনগর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল ও জলঙ্গি।
বীরভূমের ১১টা আসন হল, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, বোলপুর, নানুর, লাভপুর, রামপুরহাট, ময়ূরেশ্বর, মুরারই, নলহাটি ও হাসন।
কলকাতার যে ৭টা আসনে ভোট হচ্ছে, সেগুলো হল, চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, কাশীপুর, বেলগাছিয়া ও শ্যামপুকুর।
কমিশন সূত্রে খবক, শেষ দফার ভোটপর্ব তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকছেন ২৪ জন জেনারেল পর্যবেক্ষক, ৯ জন ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ক পর্যবেক্ষক এবং ৯জন পুলিশ পর্যবেক্ষক।
অন্যান্য পর্বের মতো এবারও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। শেষ দফার ভোটের জন্য মোট ৬০ হাজার ২৪০ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। তার মধ্যে বুথে থাকবে ৫১ হাজার ২৮০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান।
চার জেলার মধ্যে বীরভূমের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ১৭ হাজার ৯২০ জন। তারপরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এই জেলায় ভোট নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ১৬ হাজার ৯৬০ জন জওয়ান।
মালদায় মোতায়েন থাকবেন ৮ হাজার ৮০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। আর কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট নিরাপত্তার দায়িত্বে ৭ হাজার ৬০০ জওয়ান।