কলকাতা: বঙ্গ ক্রিকেটে বহুদিনের সহযোদ্ধা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অজস্র ম্যাচে লড়েছেন বাংলার হয়ে। পরে জাতীয় দলে, আইপিএলেও চুটিয়ে খেলেছেন দুই তারকা। তবে রাজনীতির ময়দানে একে অপরের প্রতিপক্ষ। আরও তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, মনোজ তিওয়ারি যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূলে যোগ দিলেন, সেই দিনই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন অশোক ডিন্ডা।


রাজনীতিতে রাজ্যের আরও এক ক্রিকেটার। আজই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অশোক ডিন্ডা। মনোজের তৃণমূলে যোগদানের দিনই বিজেপিতে ডিন্ডা। শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকেই নেবেন বিজেপির পতাকা।


সম্প্রতি ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন ডিন্ডা। বাংলার হয়ে খেলার পাশাপাশি নিজের বোলিং সাফল্যে জাতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন ডিন্ডা| ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে নাগপুরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক| সেই ম্যাচে সনৎ জয়সূর্যের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ডিন্ডা| জাতীয় দলের হয়ে ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৭ উইকেট| ২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে ওয়ান ডে অভিষেক| জাতীয় দলের হয়ে ১৩টি ওয়ান ডে খেলেছেন ডিন্ডা| নিয়েছেন ১২টি উইকেট| নজরকাড়া বোলিংয়ের জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দলে ছিলেন| তবে প্রথম একাদশে সুযোগ হয়নি|

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ছাড়াও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুণে ওয়ারিয়র্স, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ডিন্ডা| আইপিএলে ৭৮ ম্যাচে নিয়েছেন ৬৯ উইকেট| বলের গতির জন্য তাঁকে ডাকা হতো নৈছনপুর এক্সপ্রেস বলে| মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কলকাতায় পাড়ি, একটি সংস্থার ট্যালেন্ট হান্ট থেকে সকলের নজরে পড়া, টালিগঞ্জে কোচ অটল দেববর্মনের বাড়িতে থেকে ক্রিকেট সাধনা, ডিন্ডার উত্থান বাংলার ক্রিকেটে রূপকথার মতো| ক্লাব ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের জেরে বাংলা দলে সুযোগ| বাংলার জার্সিতে বহু স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছেন ডিন্ডা| বহু ম্যাচে ডিন্ডার বোলিং দাপটে জিতেছে বাংলা|


সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া ৩৬ বছরের ডিন্ডাকে বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত করার কথা ভেবেছিলেন। তবে ডিন্ডা নাম লেখালেন রাজনীতিতে। এবার রাজনীতির ময়দানে দলের হয়ে ম্যাচ জিততে পারবেন সদ্যপ্রাক্তন ডানহাতি পেসার?