কলকাতা: শীতলকুচিতে ৫ জনের মৃত্যু নিয়ে অমিত শাহর আক্রমণের জবাব দিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন। তৃণমূল সাংসদের ট্যুইট, 'একাধারে ঠগ। প্রতারক। মিথ্যাবাদী।অমিত শাহ ও তাঁর চাটুকারদের বলছি, মমতা যাঁদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ফলকের উপরে সেই পাঁচটি (চারটি নয়) নাম পড়ুন যাঁদের আপনার নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মরতে হয়েছে'।



শীতলকুচিতে চতুর্থ দফার ভোট চলাকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল  বিজেপির ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূল নেত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন,  শীতলকুচিকাণ্ডে তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে সরব হলেও, আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেন না কেন? এই প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।


বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেন,  ‘চতুর্থ দফার ভোটে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। বুথে অজ্ঞাত পরিচয় লোক হামলা চালিয়েছে। সিআরপিএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বাধ্য হয়ে গুলি চালানোয় মৃত্যু হয়েছে।ঘটনা নিয়ে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে।’


অমিত শাহ বলেছেন , ‘সকালে ওই বুথেই আনন্দ বর্মনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেননি মমতা। কারণ, আনন্দ বর্মন রাজবংশী সম্প্রদায়ের, তিনি মমতার ভোট ব্যাঙ্ক নয়’।


অমিত শাহর দাবি, শোকপ্রকাশেও বিভেদ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা। বাহিনীকে ঘেরাওয়ের উস্কানি দিয়েছেন মমতা। উস্কানি না দিলে এমন ঘটনা ঘটত না।’


তৃণমূল গতকালই অমিত শাহর এই অভিযোগ খারিজ করেছিল। সেইসঙ্গে অভিযোগ করেছিল যে, অমিত শাহ অসত্য বলছেন। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন যে,  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ জনের মৃত্যুতেই দুঃখপ্রকাশ করেছেন। অমিত শাহ মিথ্যাচার করছেন। আমরা আর একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করছি।


উল্লেখ্য, শীতলকুচির ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি অমিত শাহর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে তাঁর ইস্তফা দাবি করেছেন। 


ঘটনার দিনই মুখ্যমন্ত্রী শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোচবিহারে আগামী ৭২ ঘণ্টা রাজনৈতিক দলের নেতা বা প্রতিনিধিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নির্বাচন কমিশন। ফলে মমতা শীতলকুচিতে যাননি। শিলিগুড়ি থেকেই নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন।