আশাবুল হোসেন, প্রকাশ সিন্‍হা ও অনির্বাণ বিশ্বাস, বাঁকুড়া ও কলকাতা: মেট্রো ডেয়ারি মামলায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে নোটিস পাঠাল ইডি। এই প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে বসে চক্রান্ত করছেন বলে বাঁকুড়ার মেজিয়ার সভা থেকে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘সরকারি অফিসার, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হয়রানি করা হচ্ছে।’ ছাতনার সভায় তিনি বলেন, ‘আমার হোম সেক্রেটারিকে নোটিস পাঠিয়েছে।’ এরপর রাইপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠিয়েছে। পার্থকে চিঠি ধরিয়েছে। নিজেরা হারবে বলে অমিত শাহ বসে বসে চক্রান্ত করছে।’ মমতার এই আক্রমণের পাল্টা, জবাব দিয়েছে বিজেপি।


একদিনে বাঁকুড়ায় পর পর ৩টি জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রতিটি সভাতেই তৃণমূলনেত্রীর মুখে উঠে এল স্বরাষ্ট্রসচিবকে ইডি-র নোটিস দেওয়ার প্রসঙ্গ। মেট্রো ডেয়ারি মামলায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।


ইডি সূত্রে খবর, মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করা হয়েছে। মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তরের সময় রাজ্যের অর্থসচিব ছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া হয়েছিল? কারা কারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? সেই বিষয়ে তথ্য পেতেই হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। চলতি সপ্তাহেই স্বরাষ্ট্রসচিবকে সিজিও কমপ্লেক্স ইডি-র দফতরে হাজিরার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। আর ভোটের মুখে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে ইডি-র তলব নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন বাঁকুড়ার সভার মমতা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রসিচবকে ডেকে পাঠিয়েছে। পার্থকে চিঠি ধরিয়েছে। নিজেরা হারবে বলে অমিত শাহ বসে বসে চক্রান্ত করছে। কী করে তৃণমূলকে শেষ করা যায়, মমতাকে মেরে ফেলা যায়। মানুষের উপর অত্যাচার করা যায়। ইন্টারফেয়ার করলে, আগামীদিনে ইলেকশন কমিশনের কাছে ধরনা দিতেও পিছপা হব না।’


অন্যদিকে, কয়লা ও বাঘ পাচারকাণ্ডে রাজ্যে সিবিআই ও ইডি-র অভিযান। কয়লাকাণ্ডে কলকাতার থিয়েটার রোড, দুর্গাপুর, আসানসোল, কুলটি-সহ ৫টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই অফিসাররা। অন্যদিকে, ব্যাঘ্রশাবক পাচারের তদন্তে আজ কলকাতা, হাওড়া-সহ ৩টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। ইডি-র দাবি, মাসকয়েক আগে বিদেশে ব্যাঘ্রশাবক পাচারের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করে বন দফতর। সেই মামলার তদন্তভার নেয় ইডি। তার প্রেক্ষিতেই আজ তল্লাশি অভিযান চলছে