করুণাময় সিংহ, মালদা: প্রার্থী ঘোষণার পরও মালদায় জোটে নতুন জট। ফরওয়ার্ড ব্লক তিনটি ও আরএসপি একটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাড়ছে জটিলতা। কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছে দুই বাম শরিক। যদিও দুই বাম শরিকের এই পদক্ষপে আমল দিচ্ছে না কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে সিপিএম।
একদিকে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি, অন্যদিকে কংগ্রেস। প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেলেও মালদা জেলায় নতুন করে জট তৈরি হল জোটে। তাদের একটিও আসন না ছাড়ায়, নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি।
মালদার ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক শ্রীমন্ত মিত্র জানিয়েছেন, ‘মালদা জেলা থেকে ফরওয়ার্ড ব্লককে তুলে দিয়ে জোট করবে, এটা সম্ভব নয়, আমরা প্রার্থী দেব।’ পাশাপাশি মালদার আরএসপি-র জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পাণ্ডে বলেছেন, ‘আমাদের ভোট কংগ্রেস নেবে, অথচ তাদেরটা দেবে না, এটা হতে পারে না। জোট মানে দেওয়া-নেওয়া।’
পাল্টা মালদার কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেছেন, ‘ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি মনে করছে, একমাত্র কর্মসূচি ভোটে লড়াই করা। গতবার ভোটে লড়ে হেরেছে। শিক্ষা ওরা পেয়েছে।’
মালদায় মোট বিধানসভা কেন্দ্র ১২টি। এর মধ্যে কংগ্রেস ৯টি ও সিপিএম ৩টি আসনে লড়বে বলে ঘোষণা করেছে সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক আবার দাবি করেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল ও মানিকচকে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। মালতিপুরে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে আরএসপি। দুই বাম শরিক নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিলে মালদা জেলায় কংগ্রেসের সঙ্গে চারটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতে চলেছে তাদের।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও হরিশ্চন্দ্রপুর ও মালতিপুরে চতুর্মুখী লড়াই হয়। তবে দু’টি আসনেই শেষপর্যন্ত জিতেছিল কংগ্রেস। সেই উদাহরণ সামনে রেখে দুই বাম শরিকের দাবিকে আমল দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। মালদার কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেছেন, ‘গতবার ভোটে লড়ে হেরেছে, শিক্ষা ওরা পেয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে নতুন করে শিক্ষালাভ করছে না। ওদের সহযোগিতা পাওয়া আমাদের নৈতিক অধিকার।’
শরিক নয়, এই বিতর্কে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে সিপিএম। মালদার সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেছেন, ‘এই সমস্ত আলোচনা রাজ্যস্তরে হয়েছে। জেলাস্তরে কখনও হবে না। আমাদের রাজ্য নেতৃত্ব বসে ঠিক করেছে। আশা করছি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব।’
২৬ ও ২৯ এপ্রিল মালদার ১২টি আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে।