কলকাতা: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে একুশের মহারণ। আগামীকাল ৫ জেলার ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। যার মধ্যে একাধিক হেভিওয়েট কেন্দ্র রয়েছে। মেদিনীপুরে এবার তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী জুন মালিয়া। কঙ্কাল কাণ্ডে অভিযুক্ত নেতা সুশান্ত ঘোষকে এবার শালবনি কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে সিপিএম। অন্যদিকে পুরুলিয়ার জয়পুরে তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন বাতিল করেছে। তাই জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী দিব্যজ্যোতি সিংদেকে সমর্থন করেছে তৃণমূল।


মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা বলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। ঝাড়গ্রাম মোট ১৩০৭টি ভোট। সংশ্লিষ্ট জেলায় ১৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কথা। ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা। তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে এবার সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী মধুজা সেন রায়। বিধানসভা ভোটে বামেদের তরুণ মুখের মধ্যে অন্যতম মধুজা। বিজেপির প্রার্থী সুখময় শতপথী।


হলফনামায় ত্রুটি থাকায় ১০ মার্চ জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ মনোনয়ন গ্রহণের নির্দেশ দিলেও, পরে তা খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চে। এবার ওই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী দিব্যজ্যোতি সিংদেকে সমর্থন করেছে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী নরহরি মাহাতো, সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী ধীরেন মাহাতো। বাঘমুণ্ডির তৃণমূল প্রার্থী সুশান্ত মাহাতো, বিজেপি প্রার্থী আশুতোষ মাহাতো, সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতো।


চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া। মেদিনীপুর কেন্দ্রে এবার লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন জুন মালিয়া। হেভিওয়েট প্রার্থীর প্রচারে জনসভা করেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপি প্রার্থী সমিত দাস। সংযুক্ত মোর্চার সিপিআই প্রার্থী তরুণ ঘোষ। কঙ্কাল কাণ্ডে অভিযুক্ত নেতা সুশান্ত ঘোষ নিজের গড়ে ফিরেছেন গত বছর ডিসেম্বর মাসে। তাঁকে এবার শালবনি কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে সিপিএম। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাতো এবং বিজেপি প্রার্থী রাজীব কুণ্ডু। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি একসময় বাম দুর্গ বলেই পরিচিত ছিল। কেশিয়াড়ি কেন্দ্রটি তফসিলি জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরেশ মুর্মু। বিজেপি প্রার্থী সোনালী মুর্মু। সিপিএম প্রার্থী পুলিনবিহারী বাস্কে।


রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর তাঁর বিরোধী হিসেবে অখিল গিরির গুরুত্ব দলে আরও বাড়ে। ওই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার সিপিএমের প্রার্থী সব্যসাচী জানা। বিজেপি প্রার্থী স্বদেশ রঞ্জন নায়েক। ২০১৯ সালে বামেদের ব্রিগেডে ঝড় তুলেছিলেন দেবলীনা হেমব্রম। এবার তাঁকেই বাঁকুড়ার রানিবাঁধে প্রার্থী করেছে সিপিএম প্রার্থী। তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের জ্যোৎস্না মাণ্ডি, বিজেপির ক্ষুদিরাম টুডু।