সুমন ঘড়াই ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কলকাতা, বিধাননগর সহ রাজ্যের ৫ পুরসভায় প্রশাসক বদল হল। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশমতো মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি আজ এক নির্দেশিকায় প্রশাসক বদলের কথা জানায়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বদলে আইএসএস অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছে প্রশাসক পদে।


নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মতো রাজ্যের ৫টি মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভার প্রশাসক বদল করা হল। রাজনৈতিক নেতাদের বদলে ওই ৫ পুরসভায় আইএএস অফিসারদের নিয়োগ করল প্রশাসন। শনিবারই নির্বাচন কমিশন সুপারিশ করে, মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটিই সোমবারের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ পাঁচটি পুরসভায় রাজনৈতিক নেতা বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বদলে সরকারি অফিসার নিয়োগ করবে।


নবান্ন সূত্রে খবর, সেই সুপারিশ মতোই সোমবার বদল হল প্রশাসক পদে।  কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হলেন খলিল আহমেদ। যিনি আগে পুর কমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন। বিধাননগরের  প্রশাসক হলেন দেবাশিস ঘোষ। আসানসোলের প্রশাসক হলেন নীতীন সিংহানিয়া, শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক হলেন সৌমেন্দু গুপ্ত, চন্দননগর পুরসভার প্রশাসক হলেন স্বপন কুণ্ডু ৷


বাকি মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ক্ষেত্রে  নির্বাচন কমিশন সুপারিশ করেছে, ওই পুরসভাগুলিতে প্রশাসক পদে বদল প্রয়োজন কি না, তা খতিয়ে দেখে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি রিপোর্ট দেবে কমিশনকে।  রাজ্যে এখন ১১২টি পুরসভায় প্রশাসক রয়েছে। তার বেশিরভাগেরই প্রশাসক পদে রয়েছেন রাজনীতিকরা।  যেমন কলকাতা বন্দর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স এর চেয়ারম্যান ছিলেন।  শনিবারই তিনি ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। এদিনই পুরসভায় ফিরহাদের ঘরের সামনে চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স নেমপ্লেট খুলে দেওয়া হয়।  খুলে ফেলা হয় কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স-এর সদস্যদের নেমপ্লেটও।  মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় গত বছর কলকাতা পুরসভায় বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স নিয়োগ করা হয়।  রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার প্রশাসকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে চলতি মাসেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি।