রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ভুয়ো বিলে সই করতে না চাওয়ায় পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত অফিস ঘিরে ফেলে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।
সরকারি অফিসারকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বুধবার সকালে এমন দৃশ্যের সাক্ষী রইল মুর্শিদাবাদের একটি গ্রামপঞ্চায়েত।
অভিযোগকারিণী পঞ্চায়েত প্রধান জানান, ‘‘আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে ছিলই না। আমি যখন পঞ্চায়েতে এলাম তখন পুলিশ ঘিরে নিয়েছিল। আমার স্বামীও পঞ্চায়েতে ছিল। স্বামীকে ধরে নিয়ে গেল ৷’’
গ্রাম পঞ্চায়েত আধিকারিকের অভিযোগ, রাস্তা তৈরি না করেই ভুয়ো বিল তৈরি করে প্রধান। সেই বিলে সই করে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলে প্রধান ও তাঁর স্বামী। রাজি না হওয়ায় সোমবার তাঁকে পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই বেধড়ক মারধর করেন দু’জনে। গ্রাম পঞ্চায়েত আধিকারিক সঞ্জীব পাণ্ডে জানান, ‘‘প্রধান ও তাঁর স্বামী সই না করায় আমাকে মারধর করে ৷’’
গ্রাম পঞ্চায়েত আধিকারিকের দাদা ইন্দ্রজিৎ পাণ্ডে জানান, ‘‘আমার ভাই গিয়েছিল। অবৈধ ভাবে সই করতে বলে। ও রাজি হয়নি। বিডিওকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছিল। বিডিও তখন রেসপন্স করেননি। ভাইকে মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷’’
মঙ্গলবার রাতে এফআইআর করেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও। বুধবার প্রধানের স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরই পঞ্চায়েত আধিকারিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সরব হন প্রধান। বিডিও, এসডিও এবং ডিএমের কাছে লিখিত অভিযোগও জানান তিনি। অভিযোগকারিণী পঞ্চায়েত প্রধান জানান, ‘‘আমার শ্লীলতাহানি করেছে। আমার দিকে খারাপ ভাবে তাকাত। এর আগেও বলেছি ওকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সরানো হয়নি ৷’’
বিধানসভার আসন দখল নিয়ে রাজ্যে যখন জোরদার লড়াই, তখন দুর্নীতি, সরকারি কর্মীকে নিগ্রহ আর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে সরগরম মুর্শিদাবাদের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত।