শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে দলেরই একাংশের প্রচারের অভিযোগ। ৬ নেতাকে শোকজ করল কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা কোনও কর্মসূচিতে ডাক পান না, দাবি শোকজ হওয়া নেতাদের।


দার্জিলিঙের পর এবার কোচবিহার। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেওয়ায় একগুচ্ছ তৃণমূল নেতাকে শোকজ করল দল। তালিকা ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থী বদলের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরব হয়েছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে কোচবিহারের দিনহাটাতেও। দলবিরোধী কাজের জন্য এবার দিনহাটার ৬ নেতাকে শোকজ করল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ৩ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল, তবুও ওরা শোনেনি, পরপর নির্দেশ অমান্য করে ওরা কর্মসূচি নিচ্ছে, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে শোকজ ৷’’


জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দিনহাটার প্রার্থী উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে প্রচার চালাচ্ছিলেন ওই ৬ নেতা। বারবার তাঁদের নিষেধ করা সত্ত্বেও, কোনও কর্ণপাত করেননি তাঁরা। এরপরই যুব তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় ও সাবির সাহা চৌধুরী, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সম্পাদক মিলন সেন, দিনহাটা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তরণীকান্ত বর্মন এবং স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা মির ইকবাল কবীর ও বাবলা নন্দীকে শোকজ করল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।


জেলা নেতৃত্বের এই নির্দেশ শুনে দলের বিরুদ্ধে আরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শোকজের মুখে পড়া তৃণমূল নেতারা। শোকজ হওয়া যুব তৃণমূল নেতা অজয় রায় বলেন, ‘‘দল আমাদের ডাকে না, উদয়নের হয়ে প্রচারের কথা বলেনি, আমাদের লিখিতভাবে শোকজের কথা জানানো হয়নি ৷’’


দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি অসীম নন্দী জানান, ‘‘উদয়ন গুহ নিজের মতো করে দল চালাচ্ছেন, আমাদের উনি ডাকেন না, তাহলে কী করে কাজ করবে ৷’’


এনিয়ে দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী পাল্টা দাবি করেছেন, যাঁরা বলছেন, ডাকা হয় না, তাঁরা সবাই তো পদাধিকারী। তাঁদেরও তো দায়িত্ব রয়েছে। নিজের থেকেই তো কাজ করতে পারেন। উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে ৷ অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়ছেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা আব্দুর রউফ। এই কেন্দ্রে আগামী ১০ এপ্রিল ভোটগ্রহণ।